কামরুল হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি
সিলেটের বিয়ানীবাজারে চাঞ্চল্যকর কামরুল হাসান হত্যা মামলায় চাচাতো ভাইসহ তিন সহোদরের একজনের ফাঁসি ও দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুরে সিলেট জেলা ও দায়রা জজ মনির আহমেদ পাটোয়ারী এ রায় প্রদান করেন। তবে দণ্ডপ্রাপ্তদের সবাই যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক রয়েছেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত মঈজ উদ্দিন সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার কসবা গ্রামের মনজ্জির আলীর ছেলে।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মঈজ উদ্দিনের ছোট ভাই জালাল উদ্দিন ও চাচাতো ভাই শফিক উদ্দিনের ছেলে সাহেল। একই সঙ্গে দণ্ডের পাশাপাশি রায়ে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছর করে সশ্রম দণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মঈজ উদ্দিনের আরেক সহোদর ইসলাম উদ্দিনকে খালাস প্রদান করেছেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ২১ আগস্ট দুপুর ২টার দিকে নিজ বাড়িতে চুলা স্থাপনকে কেন্দ্র করে মঈজ উদ্দিনের সঙ্গে কামরুলের কথা কাটাকাটি হয়। আর এরই জের ধরে দুঃসম্পর্কের চাচা মঈজ উদ্দিন ও তার সহোদররা কামরুলকে কুপিয়ে খুন করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বিয়ানীবাজার উপজেলার কসবার আবুল কালাম বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজমুল হুদা ২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর আদালতে মামলার চার্জশিট দাখিল করেন।
এরপর মামলাটি বিচারের জন্য আদালতে পাঠানো হলে ২০১৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলার চার্জ গঠন করা হয়। পরে ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। তাকে সহায়তা করেন অতিরিক্ত পিপি শামসুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় নিহতের বাবা আবুল কালাম বলেন, আদালতের রায়ে আমি সন্তুষ্ট। তবে আসামিরা দেশের বাইরে (যুক্তরাষ্ট্রে) পলাতক রয়েছেন। তাদের দেশে এনে রায় কার্যকর করা হলে আরো খুশি হবো।
ছামির মাহমুদ/এআরএ/আরআইপি