ছাদবাগান এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র নয় : চসিক মেয়র

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৮:০৩ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০১৯

ছাদবাগান এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র নয় বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে অনেকেই ছাদবাগান করছেন। তবে আবার এডিস মশার কারণে এখন অনেকেই ছাদবাগানে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। আসলে ছাদবাগান এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র নয়। ছাদবাগানে যাতে কোনোভাবে তিনদিনের বেশি স্বচ্ছ এবং স্থির পানি না জমে -সেটা খেয়াল রাখতে হবে। এ জিনিসটি আমাদের বুঝতে হবে।

রোববার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় নগরের আউটার স্টেডিয়ামে ‘সবুজ মেলা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।

মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ছাদবাগানে আমাদের পরিবেশ মানসম্পন্ন হবে। অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় চাহিদা, সেগুলো পূরণ করতে পারব। সবচেয়ে বড় যে কাজটি হবে, আমাদের বেঁচে থাকার জন্য যে অক্সিজেন প্রয়োজন হয় তা আমরা পাব।

মেয়র বলেন, আমাদের এ মেলা তখনই সফল হবে যদি মেলার মাধ্যমে এ নগরের বসবাসকারীদের সচেতন করতে পারি, উদ্বুদ্ধ করতে পারি। নগরবাসী প্রত্যেকে যদি নিজের আঙিনায় বা কারখানায় বৃক্ষরোপণ করি তাহলেই আমাদের আয়োজনটা সফল হবে।

মেয়র উপস্থিত শিক্ষার্থীদের বেশি করে বৃক্ষরোপণ করতে বলেন। এর আগে বিকেল ৫টায় পায়রা ও ফেস্টুন উড়িয়ে সবুজ মেলার উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম জাগো নিউজকে বলেন, এবারের মেলা গতানুগতিক বৃক্ষমেলা নয়। এ কারণে এ মেলার নাম রাখা হয়েছে সবুজ মেলা। কারণ শুধু বৃক্ষই এখনকার বাস্তবতায় সবুজ নয়। প্রযুক্তির উৎকর্ষের এ সময়ে আমরা বাড়ি-কারখানা কীভাবে সবুজে সাজাতে পারি সে ধারণা ফুটিয়ে তোলার একটা প্রয়াস এ মেলায় করা হচ্ছে।

তিনি জানান, ১৫ দিনব্যাপী এ মেলায় ৫৫টি স্টল অংশ নিচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গণ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলা মঞ্চে প্রতিদিন বিকেলে বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, ছাত্র-শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে পরিবেশ বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠান হবে।

আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।