ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে হচ্ছে মাস্টার প্ল্যান : তাজুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:১৮ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০১৯

এবারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সমন্বিত প্রচেষ্টায় আগামীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আগামীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাস্টার প্ল্যান তৈরির জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

রোববার (২৫ আগস্ট) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ১৭ জেলার জেলা পরিষদের ২০ নবনির্বাচিত সদস্যের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, সমন্বিত প্রচেষ্টা আর সচেতনতার কারণে ডেঙ্গু পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আক্রান্তের হার কমেছে।

তিনি বলেন, এ বছর এডিস মশার প্রাদুর্ভাব অনেক বেশি। তবে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হলেও মৃত্যুর হার কম রয়েছে। সচেতনতা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে উত্তরোত্তর উন্নতি হচ্ছে। সচেতনতা যত বেশি বাড়াতে পারবো ও মানুষের অংশগ্রহণ যত বেশি বাড়বে এর প্রকোপ তত কমবে। এ জন্য আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছি ডেঙ্গু পরিস্থিতি মনিটরিংয়ের জন্য।

তিনি বলেন, ঈদের সময় ধারণা ছিল ডেঙ্গু বড় ধরনের বিপর্যয় বয়ে আনবে। কিন্তু সে রকম কিছু হয়নি। তবে ঈদে বাড়তি প্রস্তুতি হিসেবে সকল কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করেছি।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গুর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। এ বছর পৃথিবীতে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বেশি। তবে পৃথিবীর অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে কম আক্রান্ত হয়েছে। তবে তা ২০০০ সালের হিসেবের তুলনায় বেশি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সারা বছরই ডেঙ্গু প্রতিরোধে অভিযান চলছে। আমরা যে পরিমাণ ডেঙ্গু মশার আক্রমণ দেখেছি। তা আগে কখনো দেখিনি। পৃথিবী জুড়েই এডিস মশা এবার বেশি। এডিস মশা বৃষ্টির মৌসুমে বেশি ডিম দেয়। ডিম থেকে সেখানে লার্ভা হয়। এই লার্ভা থেকে ডেঙ্গু হয়। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে ডিম দিলে সেই ডিম থেকে এডিস মশার জন্মানোর হার কম থাকে। এছাড়া শুষ্ক মৌসুমে ডেঙ্গুর তীব্রতা কম থাকে। তারপরও আমাদের কার্যক্রম সারা বছর অব্যাহত রাখা হবে।

থাইল্যান্ডের উদাহরণ টেনে মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ৩৮ কোটি মানুষের মধ্যে ১০ লাখ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। কলকাতায় হাজার হাজার মারা গেছে, আক্রান্ত হয়েছে লাখ লাখ। থাইল্যান্ডে ২৮ হাজার ৭৮৫ মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছে ৪৩ জন। যা গত ৫ বছরের মধ্যে দ্বিগুণ বলে জানিয়েছে সে দেশের একটি গণমাধ্যম। ফলে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও থাইল্যান্ডের অভিজ্ঞা কাজে লাগিয়ে আমাদের গ্যাপগুলো চিহ্নিত করতে পেরেছি। সে অনুযায়ী আমরা কৌশল নিব কোন মাসে কত বেশি কাজ করতে হবে।

উল্লেখ্য, চলতি বছর প্রায় ৬০ হাজার ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলেও ইতোমধ্যে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন ৫৩ হাজার ৩৯৮ জন। বর্তমানে সারা দেশের হাসপাতালে ছয় হাজার ১৪৭ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে রাজধানীতে তিন হাজার ৩৩২ ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে দুই হাজার ৮১৫ রোগী ভর্তি রয়েছেন।

এমইউএইচ/এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।