পুলিশ টাকা চাওয়ায় বেপরোয়া ট্রাক, এবার মারা গেলেন অটোরিকশা চালক
চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে পুলিশের তাড়া খেয়ে পালানো ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যুর পর এবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন অটোরিকশা চালক সুমন। এ নিয়ে এ দুর্ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হলো। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে সকাল ৯টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের কুয়াইশ সংযোগ সড়ক সংলগ্ন ধোপপুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোটরসাইকেল আরোহী মো. আনিছের মৃত্যু হয় ।
নিহত মো. আনিছ (৩৩) নগরের ব্যাটারি গলির বাসিন্দা আবেদ আলীর ছেলে। তিনি ম্যারেডিয়ান চিপস কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। বাড়ি রংপুর জেলায়। নিহত অটোরিকশা চালক সুমন (২৫) কুয়াইশ বড়পুকুর পাড় এলাকার মো. শরিফের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৯টার দিকে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের কুয়াইশ এলাকায় হাটহাজারী থানা পুলিশের একটি দল শহরমুখী একটি ট্রাক থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা করছিল। ওই চালক ৪০০ টাকা পরিশোধ করলেও হাটহাজারী থানা পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরও টাকা দাবি করেন। এ সময় পুলিশের হাত থেকে বাঁচার জন্য ওই ট্রাকচালক গাড়ি চালিয়ে দ্রুত পালানোর চেষ্টা করেন। পুলিশের তাড়া খেয়ে পালিয়ে যাবার সময় ধোপপুল এলাকায় এসে দ্রুত গতির ট্রাকটি একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এর মধ্যে মোটরসাইকেল আরোহীর অবস্থা গুরুতর ছিল।
ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা গুরুতর আহত দুইজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। একই সঙ্গে, তারা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। বিক্ষোভকারীরা এ সময় অভিযুক্ত পুলিশের ওই এসআইকে আটক করে ফেললেও পরে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স এসে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা বিক্ষোভ ঠেকাতে বারবার চেষ্টা করে পুলিশ।
এদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির কর্তব্যরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার জাগো নিউজকে বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুয়াইশ এলাকা থেকে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে মোটরসাইকেল আরোহী মো. আনিছের মৃত্যু হয়।। পরে বিকেল ৩টার দিকে অটোরিকশা চালক সুমনও মারা যান।’
এ বিষয়ে জানতে হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ‘এখন কথা বলা যাবে না’ জানিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এর আগে দিনভর একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এসআর/এমকেএইচ