কারখানায় তালা, ভেতরে আটকা পোশাক শ্রমিকরা
রাজধানীর শ্যামলী স্কয়ারের সামনে দুই দিকের সড়কে দ্বিতীয় দিনের মতো অবরোধ করেছেন আলিফ গার্মেন্টের শ্রমিকরা। দাবি আদায় না হওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে তারা সড়কের দুই পাশে অবস্থান নেন। এ সময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেন তারা। অন্যদিকে ওই গার্মেন্টের ভেতরে কিছু শ্রমিককে আটকে পুলিশ তালা দিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুলিশের মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জি জি বিশ্বাস জাগো নিউজকে বলেন, আজ দুপুর দেড়টা পর্যন্ত তারা সড়কে ছিল। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলে সড়ক থেকে সরাতে সক্ষম হয়েছি।
ঘটনাস্থল থেকে আলিফ গার্মেন্টের শ্রমিক আব্দুল কুদ্দুস জানান, বিনা নোটিশে কারখানা বন্ধের পর যে যে সুবিধা দেয়ার কথা ছিল তার কোনোটিই দেয়নি আলিফ গার্মেন্ট। গতকাল কয়েক দফা বৈঠকের পরও তারা পাওয়া পরিশোধে রাজি না হওয়ায় আমরা সারারাত কারখানায় অবস্থান করি। দুপুরে আমাদের কিছু কর্মী সড়কে অবরোধ করে। তখনই পুলিশের কিছু সদস্য আমাদের গার্মেন্টের ভেতরে আটকে তালা দিয়ে দেয়, যাতে আমরা সড়কে না যেতে পারি। বর্তমানে আমরা কারখানায় অবস্থান করছি। বাকিরা সড়কে।
কর্মীদের বের হতে না দেয়ার বিষয়ে ওসি দাবি করেন, ‘তারা স্বেচ্ছায় সারারাত কারখানার ভেতরে ছিলেন। এখানে বিজিএমইএর নেতারা আছেন। সড়কে আসতে বাধা বা গার্মেন্টে তালা দিয়ে আটকে রাখার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।’
গত ১১ আগস্ট ঈদের ছুটির জন্য বন্ধ হয়েছিল আলিফ অ্যাপারেলস লিমিটেডের আলিফ গার্মেন্ট। সেদিন কারখানাটির সব শ্রমিক ঈদের ছুটিতে যান। তবে ঈদের ছুটি কাটিয়ে বুধবার কর্মস্থলে যোগ দিয়ে তারা গেটে তালা দেখতে পান। সেখানে অনির্দিষ্টকালের জন্য গার্মেন্ট বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দেয়া হয়।
যেসব দাবিতে শ্রমিকদের অবরোধ
আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, শ্রম আইন অনুযায়ী বিনা নোটিশে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করলে ১২০ কর্মদিবসের আগাম বেতন, চলতি মাসের বেতন, ছুটি না কাটানোর পাওনা (আর্ন লিভ) এবং যে যতদিন চাকরি করেছে, সেই হিসাবে সার্ভিস চার্জ পরিশোধ করতে হয়। এসব দিলেই কেবল আমরা সড়ক থেকে সরে দাঁড়াব।
এআর/জেডএ/জেআইএম