বন্যায় ক্ষতি : ২ কোটি ১২ লাখ টাকার আমন চারা পাচ্ছেন কৃষক
বন্যায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে দেশের ১০ জেলার কৃষকরা ২ কোটি ১২ লাখ ২৬ হাজার টাকার রোপা আমন চারা পাবেন। মোট ৩২ হাজার ১২১ জন কৃষককে এই সহায়তা দেয়া হবে।
ইতোমধ্যে এই সহায়তা দিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, চারা উৎপাদন করে বিতরণের কাজটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরই করবে।
তিনি আরও বলেন, কৃষি পুনর্বাসন বাবদ ২০১৯-২০ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে কৃষি পুনর্বাসন মঞ্জুরি খাতে বরাদ্দকৃত ১২০ কোটি টাকা থেকে চলতি রোপা আমন মৌসুমে বন্যার সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে, বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ১০ জেলায় এই সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এই কর্মসূচির আওতায় আপদকালীন সময়ের জন্য রোপা আমন ধানের বীজতলা তৈরি, চারা উত্তোলন ও বিতরণ করা হবে।
দেশের মধ্যে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে গত মাসে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, মধ্যাঞ্চলে বন্যা দেখা দেয়।
কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, কৃষককে সহায়তা দিতে ২ কোটি ১২ লাখ ২৬ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রস্তাবিত রোপা আমন বীজতলা তৈরির জমির পরিমাণ ৫৫০ একর। রোপা আমনের ব্রি ধান-৪৯, ব্রি ধান-৫১, ব্রি ধান-৫২, বিনা ধান-৭, বিনা ধান-১৭ জাতের বীজতলা ও চারা তৈরি করা হবে।
টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোণা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট জেলায় চারা বিতরণ ও উৎপাদন করা হবে বলেও জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
গত ৭ জুলাই কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি প্রথমে বিপৎসীমা অতিক্রম করলেও, ব্যাপকভাবে বন্যা শুরু হয় ১২ জুলাই। ২৮টি জেলায় বন্যার পানি উঠলেও ৮ জেলায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়। কুড়িগ্রাম, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জসহ আটটি জেলার অর্ধেকের বেশি এলাকা বন্যায় ডুবে যায় ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আরএমএম/এমএসএইচ/জেআইএম