মোংলা বন্দর দূষণে জেল-জরিমানা বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪৩ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০১৯

মোংলা বন্দর এলাকার দূষণ ও অন্যান্য অপরাধে জেল-জরিমানা বাড়িয়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৯ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ আইনের অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৈঠক শেষ দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এটি চলনা বন্দর হিসেবে শুরু হয়েছিল ১৯৭৬ সালে। পরে ১৯৮৭ সালে নাম পরিবর্তন করে মোংলা বন্দর হিসেবে নাম প্রতিস্থাপিত হয়। এই বন্দরের একটি অর্ডিন্যান্স আছে, দ্য চালনা পোর্ট অর্ডিন্যান্স-১৯৭৬। হাইকোর্ট কর্তৃক যেহেতু এটা অর্ডিন্যান্স এবং সামরিক আমলের, এজন্য এটার পরিবর্তন বা এটাকে আপডেটিং এর একটা বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই এক্ষেত্রে নতুন আইন করা হচ্ছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নতু্ন আইনে পেনাল্টিস নিয়ে ৪১ ধারায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। যেমন, আগের ৪০ ধারাতে বলা ছিল, যদি কোনো ব্যক্তি এ আইন ও বিধির কোনো বিধান লঙ্ঘন করে, তার জন্য ৬ মাসের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা। বর্তমানে তা ৬ মাস ও দুই লাখ টাকা জরিমানা।

PM

‘এছাড়া টোল পরিহারের জন্য, দূষণের জন্য দণ্ড নতুন প্রস্তাব করা হয়েছে। দূষণের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে এক বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫ লাখ টাকার অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড।’

তিনি বলেন, কোন ব্যক্তির দেশীয় জাহাজ প্রভৃতি যদি বন্দর সীমানার মধ্যে পানিতে, সৈকতে, তীরে অথবা ভূমিতে কোন বর্জ্য, ছাঁই, তৈল বা তৈল জাতীয় পদার্থ বা অন্য কোন কিছু নিক্ষেপ করে অথবা নিক্ষেপ করার অনুমতি প্রদান করে। যাহা দ্বারা পানি ও পরিবেশ দূষিত হয় এবং পানি ও উদ্ভিদের ক্ষতি হয়। তাহলে উহা একটি অপরাধ এবং তার জন্য সাজা এক বছরের কারাদণ্ড অথবা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। আগে আগে এক্ষেত্রে শুধু ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান ছিল।‘

তিনি বলেন, ৪৫ ধারাতে একটি নতুন ধারার প্রস্তাব করা হয়েছে। তাহলো কোম্পানি কর্তৃক অপরাধ সংগঠন। কোন কোম্পানি কর্তৃক এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংগঠিত হলে উক্ত অপরাধের সহিত প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। কোম্পানির পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব, অংশীদার, কর্মকর্তা-কর্মচারী উক্ত অপরাধ সংগঠন করেছে বলে গণ্য হবে।

তিনি আরও বলেন, আগের যে আইন তার সঙ্গে একটু পরিবর্তন আনা হয়েছে। অর্র্থাৎ আগের অর্ডিন্যান্সের সঙ্গে পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন কিছু সংযোজন এবং কিছু বাদ দিয়ে এটাকে পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। প্রথমে সংজ্ঞার মধ্যে ‘অভ্যন্তরীণ নৌযান’ এই শব্দটিকে কোন সংজ্ঞা ছিল না অর্থাৎ ইনল্যান্ড ভেসেল যেটা আমরা বলি সেটার কোন সংজ্ঞা ছিল না। তা সংযোগ করা হয়েছে।

এমইউএইচ/জেএইচ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।