যে কারণে মেয়াদ বাড়ল ডিএমপি কমিশনারের
চলতি বছরের ১৩ আগস্ট শেষ হয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়ার মেয়াদ। দিনটি ছিল ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকারি ছুটির।
কিন্তু নতুন কাউকে দায়িত্ব না দিয়ে ওইদিনই আছাদুজ্জামান মিয়ার দায়িত্বের মেয়াদ এক মাস (১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এর আগে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল সিআইডি প্রধান শফিকুল ইসলাম অথবা পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের কেউ একজন পাবেন ঢাকা সামলানোর এই গুরুদায়িত্ব। তবে হঠাৎ করেই আছাদুজ্জামান মিয়ার মেয়াদ বাড়ানো হয়।
হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত? জানতে চাইলে গণমাধ্যমে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিংবা পুলিশ সদর দফতরের কোনো কর্মকর্তা।
তবে দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, ভয়ানক আগস্ট সামলানোর অভিজ্ঞতার কারণেই তাকে এই পদে আরও এক মাস বহাল রাখা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির সামনে হামলার পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের। ধানমন্ডির হোটেল ওলিওতে অবস্থান করে আত্মঘাতী বিস্ফোরণও ঘটায় ওই জঙ্গি। এরপর থেকেই আগস্টে বাড়তি নিরাপত্তা নেয় পুলিশ। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গত ৪ মাস ধরে দেয়া বিভিন্ন হুমকির মোকাবিলা করছে বাংলাদেশ পুলিশ ও ডিএমপি। এ ছাড়া ১৭ আগস্ট সারাদেশে বোমা বিস্ফোরণ, ২১ আগস্ট বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর ওপর গ্রেনেড হামলার মতো ঘটনা ঘটেছিল। জঙ্গিরা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে কি না- সেই আশঙ্কায় আগস্টে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেয়া হয়নি।
সূত্র আরও জানায়, প্রতিবছরের আগস্ট মাসে রাজধানীর জন্য বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেয় ডিএমপি। এবারও তা নেয়া হয়েছিল। তাই নতুন কাউকে দায়িত্ব দেয়া হলে সমন্বয়হীনতা হতে পারে, এ কথা বিবেচনায় নিয়ে আছাদুজ্জামানের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
এখন আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ডিএমপি কমিশনারের অবসরের পর নতুন করে কে এই দায়িত্ব নেবেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এখনও সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি শফিকুল ইসলাম অথবা পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের কমিশনার হওয়ার আলোচনা সবচেয়ে বেশি।
এআর/ জেডএ/এমকেএইচ