‘এবারের বন্যায় সামান্য ক্ষতি হয়েছে’
জমিতে মূল ফসল ছিল না তাই এবারের বন্যায় সামান্য ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। বীজতলায় কিছুটা ক্ষতি হলেও আমন চাষে তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না।
রোববার বেলা ১১টায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদ-পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বীজতলায় কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। আমরাও মাঠপর্যায়ে বীজতলা তৈরির জন্য মাঠ পর্যায়ে বীজ ও সার দিয়ে সহযোগিতা করছি। এখন পর্যন্ত আবহাওয়ার যা পরিস্থিতি সেটা আমনের জন্য খুবই সহায়ক। আমার বিশ্বাস আমনের যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সেটা অর্জন হবে। আশা করি, ভালো ফসল পাবো।
আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি। যে সব এলাকায় পানি না নামার জন্য আমন লাগাতে পারবে না। সেসব এলাকায় রবি ফসল উৎপাদনের পর্যাপ্ত পরিমাণ বীজ ও সার দেব। এটি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত। রবি ফসলে ভুট্টা, আলু, কলাই এবং অন্যান্য শাকসবজির বীজ, সার এবং অন্যান্য উপকরণ কৃষককে সরবরাহ করব। যাতে করে যেসব কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা যেনো ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন।
তিনি বলেন, পানি নেমে গেলেই মাসকলাই বুনে দেয়া হয়। ইতোমধ্যে সব এলাকায় মাসকলাইয়ের বীজও আমরা পাঠিয়ে দিয়েছি। আমি সব কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিচ্ছি যে, বন্যার পুনর্বাসনের কাজের কি পরিস্থিতি, ক্ষয়ক্ষতির আলোকে আমরা কি কি করতে পেরেছি সেটি নির্ধারণ করতে হবে। একইসঙ্গে তিনদিনের মধ্যে কৃষিসচিবের কাছে একটা প্রতিবেদন জমা দেবেন।
তিনি বলেন, আগেতো ফসল ছিল বৃষ্টি নির্ভর। এখন আর সে অবস্থা নেই। বর্তমানে আমাদের মূল ফসল হয়ে গেছে বোরো। বোরো থেকে আমরা দুই কোটি টন চাল পায়। এ চাল পেতে আমাদের যে কী পরিমাণ মাটির নিচের পানি তুলতে হয় এটা কেউ জানে না। এ পানি রিচার্জ হয় বৃষ্টির পানিতে। তবে শুধু বৃষ্টির পানি পুরো রিচার্জে সক্ষম নয়। এর জন্য বন্যাও প্রয়োজন। বন্যা বাংলাদেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে, আবার ক্ষতি করে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের বাজেট ১২০ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন কৃষির জন্য টাকার কোন অভাব হবে না। আর বেশি টাকা লাগলেও দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এমইউএইচ/জেএইচ/এমএস