অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের খাবারের ব্যবস্থা করেছে ডিএনসিসি
রাজধানীর মিরপুরে চলন্তিকা বস্তিতে আগুনে পুড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্তদের নিকটস্থ আরামবাগ মাঠে প্যান্ডেল টানিয়ে রান্নাবান্না ও খাবারের বন্দোবস্ত করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।
এর আগে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুরের চলন্তিকা বস্তি পরিদর্শন করেন। এ সময় আতিকুল ইসলাম অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ডিএনসিসি থেকে বিভিন্ন ধরনের সেবা (যেমন- থাকা, খাওয়া, বিশুদ্ধ খাবার পানি, ভ্রাম্যমাণ টয়লেট ইত্যাদি) নিশ্চিত আছে কিনা তা পরিদর্শন করেন। সে সঙ্গে মেয়র অগ্নিকাণ্ডে গৃহহারা মানুষদের জন্য অস্থায়ী বাসস্থান হিসেবে ব্যবহৃত 'বঙ্গবন্ধু বিদ্যা নিকেতন' ঘুরে দেখেন। এছাড়া ডিএনসিসির স্বাস্থ্য ক্যাম্পে ডাক্তার, নার্স ও রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মেয়র অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ এবং সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
তিনি বলেন, বস্তিবাসীর পুনর্বাসনের জন্য বাউনিয়া বাঁধসহ বিভিন্ন জায়গায় স্থায়ী আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় কাজ চলছে। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ডিএনসিসি থেকে সব ধরনের মৌলিক সেবা অব্যাহত থাকবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে মিরপুর ৭নং সেকশন চলন্তিকা মোড় সংলগ্ন বস্তিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের ২৪টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে পুরোপুরি নির্বাপিত হয় রাত দেড়টার দিকে। বস্তির অধিকাংশ ঘর টিনশেড হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়।
এর পরপরই ডিএনসিসি ১০ হাজার লিটার পানি ধারণক্ষম ১০টি পানির ট্যাংকারে এক লাখ লিটার পানির সরবরাহ, ১টি টাওয়ার লাইট এবং মেডিকেল টিম ঘটনাস্থলে নিয়োজিত করা হয়। শনিবার (১৭ আগস্ট) সকাল থেকে সেখানে অস্থায়ী বাসস্থান, খাবার ও ভ্রাম্যমাণ টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়।
পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোবাশ্বের চৌধুরী, মো. রজ্জব হোসেন, সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ উপস্থিত ছিলেন।
এএস/এএইচ/এমএস