প্রতিবছর দেশে যক্ষ্মায় মারা যায় ৬৬ হাজার মানুষ


প্রকাশিত: ০২:০২ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫

বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতিবছর যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয় প্রায় তিন লাখ মানুষ। আর এর মধ্যে প্রায় ৬৬ হাজার মানুষ মারা যায়।

মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ যক্ষা নিরোধ সমিতির (নাটাব) উদ্যোগে পাবনা চেম্বার অব কমার্স মিলনায়তনে আয়োজিত ‘যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধে মুক্তিযোদ্ধাদের ভূমিকা` শীর্ষক জেলা মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বক্তরা।

সভায় বক্তারা বলেন, সাত হাজার বছর আগেও বিশ্বে যক্ষ্মা রোগের জীবাণু ছিল। ১৯৯০ সালে বিশ্বে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয় ৮০ লাখ মানুষ। এর মধ্যে মারা যায় ২০ লাখ মানুষ। যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগীদের নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে।

মাঝপথে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করলে রোগ আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। পাশাপাশি যক্ষ্মা রোগ সর্ম্পকে সাধারণ মানুষকে জানানো ও যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া যক্ষ্মা প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের মতো মুক্তিযোদ্ধাদেরও ভূমিকার রাখার জন্য সভায় আহ্বান জানানো হয়।

নাটাব পাবনা শাখার সাধারণ সম্পাদক ক্যাপ্টেন ডা. আই আই রসুলের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, পাবনা টিবি হাসপাতালের কনসালটেন্ট আলহাজ্ব ডা. খলিলুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হারুন অর রশিদ।

যক্ষ্মা বিষয়ক তথ্য উপস্থাপন ও অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নাটাবের সোস্যাল মোবিলাইজার (এসএম) মো. আতাউর রহমান। সভায় সদর উপজেলার ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহণ করেন।

প্রসঙ্গত, পাবনায় ২০১৩ সাল থেকে এমডিআর (মাল্টি ড্রাগ রেজিস্টেন্স) টিবির চিকিৎসা করা হয়।

একে জামান/এআরএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।