ঈদযাত্রায় অসন্তুষ্টি নেই নৌ-প্রতিমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৪৩ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০১৯

ঈদযাত্রা নিয়ে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে সবাইকে নিয়ে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলাম তাতে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট না হলেও অসন্তুষ্টি নেই যাত্রী সেবার ক্ষেত্রে।’

বুধবার সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তিনি।

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটে দীর্ঘ যানজট নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ফেরিগুলো ফ্রিকুয়েন্টলি চলেছে, ফেরিতে কোনো জট নেই, জট রাস্তায়। ২০টি ফেরির কোনোটি কোথাও থেমে থাকেনি। বিশ্রামের বিষয়টাও যাত্রী সেবায় উৎসর্গ করেছে। পাঁচটি ফেরি শুধু যাত্রী পারাপারের জন্য দিয়েছিলাম। লাখ লাখ মানুষ ফেরিতে গেছে। কোরবানির গরুও ফেরিতে পার করেছি এবার। ঈদের আগের দিন ফেরিতে পরিবহন সংকট ছিল। ফেরি বসেছিল কিন্তু বাস-ট্রাক ছিল না।’

‘সবচেয়ে বড় কথা সিরিয়ালটা কখনও এবার ইয়ে হয়নি, সবাই মেনে চলেছে। এটার ওপর আমরা খুব স্ট্রিক ছিলাম। যে কাউকে অভারটেক করে ফেরিতে উঠে যাওয়া বা কোনো রকম সুবিধা নিয়ে উঠে যাওয়া- এ ব্যাপারে আমাদের কর্তৃপক্ষ খুব তৎপর ছিল। এটা এবার হয়নি। সিরিয়াল মেইনটেন করা হয়েছে,’ যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘রাস্তার মধ্যে যে যানজট থাকে সেটা তো আমাদের বিষয় না। ওভারটেকের বিষয়টা আমরা দেখভাল করেছি। কাজেই কোনো অনিয়ম আমাদের দৃষ্টির মধ্যে আসেনি।’

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এডিস মশা, ডেঙ্গুজ্বর সব মিলে দেশে একটা অস্থিরতা আছে। এর মধ্যেই আমি মানুষের মধ্যে আনন্দের কোনো কমতি দেখিনি। সড়ক বা রেলপথে ২০ বা ৩০ ঘণ্টায় যারা এলাকায় গেছেন আমি তাদের মধ্যেও ঈদের আনন্দ পেয়েছি।’

‘এবার কোরবানির গরু ৯৯ শতাংশ দেশি ছিল। ব্যবসায়ী এবং যারা কোরবানি দিয়েছেন উভয়ই সন্তুষ্ট ছিল,’ যোগ করেন তিনি।

চামড়ার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাণিজ্যমন্ত্রী চামড়া রফতানির বিষয়ে বলেছেন। চামড়া রফতানি হলে এ সংকট থাকবে না। বাংলাদেশে কিছু রাজনৈতিক দল নিজেদের কর্মকাণ্ডের জন্য সংকটে আছে। এ সংকট দেশের মানুষের উপরে চাপিয়ে দিতে চায়। এডিস মশা নিয়েও রাজনীতি, পরিবহন ব্যবস্থা নিয়েও রাজনীতি। একটা শহর থেকে প্রায় দুই কোটি মানুষ বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে, সেখানে কিছুটা দুর্বলতা থাকতে পারে। সেটা নিয়ে রাজনীতি করার কিছু নেই। বরং মানুষের পাশে দাঁড়ানোটাই রাজনীতি। এটা না করে সমালোচনা করলাম, এটা দায়িত্ব পালন করা হলো না। আমরা যদি হজের কথা চিন্তা করি প্রত্যেক বছর সারা বিশ্ব থেকে ৪০ লাখ মানুষ যাচ্ছে। এতো সুব্যবস্থা থাকার পরও সংকট আছে। সেখানে বাংলাদেশে একটা শহর থেকে দুই কোটি মানুষ বেরিয়ে যাচ্ছে, এ মানুষগুলোকে ম্যানেজমেন্ট করা দুঃসাধ্য ব্যাপার। তারপরও সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, ‘চামড়া শিল্পে যদি কোনো রকমের ব্যাঘাত ঘটে সেটা অবশ্যই বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় ভবিষতে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। সব জায়গায় সিন্ডিকেট তৈরি করার প্রবণতা থাকলে তো হবে না। সরকার সঠিকভাবে দেশ পরিচালনা করছে। এত কিছুর মধ্যে দেশে কোনো ধরনের অস্থিরতা নেই। এটাকে অস্বাভাবিক করার একটা চেষ্টা চলছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে নৌ-প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কারা চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলছে এটা দেখেন আপনি এরা কারা, আমাদের দেশে তো দেশবিরোধী একটা বিরাট চক্র বিরাজমান।’

এমইউএইচ/এনডিএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।