দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে চিড়িয়াখানায়
ঈদুল আজহায় কোরবানি নিয়ে নগরবাসীর বিশেষ ব্যস্ততা প্রায় শেষ। কোরবানির গোশতো বণ্টনও শেষ। নগরজুড়ে নীরবতা বিরাজ করলেও মানুষের ঢল নেমেছে মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায়। ঈদের দ্বিতীয় দিনে দর্শনার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে জাতীয় চিড়িয়াখানা।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকেই শিশু বৃদ্ধসহ সব বয়সী দর্শনার্থীর ঢল নামে চিড়িয়াখানায়। দুপুর গড়াতে সে সংখ্যা আরও বেড়ে যায়।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে জাতীয় চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখা যায়, চিড়িয়াখানার প্রধান ফটকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট নিচ্ছেন দর্শনার্থীরা। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ঈদে দ্শনার্থী বেড়ে যাওয়ায় বাড়ানো হয়েছে টিকিট কাউন্টার, প্রবেশের পথও। ভেতরে প্রতিটি পশুর খাঁচার সামনেই মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
জিরাফ, সিংহ ও ভারতীয় সাদা বাঘ, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিতা বাঘ আর বানরের খাঁচার সামনে শিশুদের আগ্রহ লক্ষ্যণীয়।
জানা গেছে, সকাল ৮টা থেকে চিড়িয়াখানার প্রবেশদ্বার খোলা হলেও তার আগে থেকেই অসংখ্য নারী, পুরুষ ও শিশুরা ছুটে আসে। রাজধানী ও ঢাকার আশপাশের জেলার দর্শনার্থীদের ভিড়ে মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডে যানজট লেগে যায়।
জাতীয় চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ১৩৭ প্রজাতির ২৭৬২টি প্রাণি রয়েছে। বিভিন্ন প্রজাতির পশুপাখির মধ্যে রয়েছে হরিণ, বাঘ, চিতা বাঘ, বানর, ভাল্লুক, সিংহ, হাতি, জলহস্তী, গণ্ডার, ঘোড়া, জিরাফ, জেব্রা, মায়া হরিণ, সাদা হংস, উট, বানর, বনগরু, শিয়াল, অজগর, ময়ূর, কাকাতুয়া, উটপাখি, প্যাঁচা, হুতুমপ্যাঁচা, টিয়া ও ময়না।
যোগাযোগ করা হলে চিড়িয়াখানার কিউরেটর নজরুল ইসলাম বলেন, দর্শনার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে চিড়িয়াখানায় ঘোরাঘুরি করতে পারেন এবং ছিনতাইয়ের ঘটনা না ঘটে সেজন্য ঈদে রয়েছে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দায়িত্বে রয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ, র্যাব, আনসার, পোশাকধারী পুলিশ ও চিড়িয়াখানার নিজস্ব নিরাপত্তা সদস্য।
এছাড়া দর্শনার্থীদের সুবিধায় কর্মকর্তা-কর্মচারীর সমন্বয়ে ১৫টি মনিটরিং সাব-কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।
গাজীপুরের ব্যবসায়ী বাবা মো. সেলিম হোসেনের হাত ধরে চিড়িয়াখানা ঘুরতে এসেছে ছোট্ট সাদিয়া তাবাসসুম সাবাহ।
তার বাবা সেলিম জাগো নিউজকে বলেন, ব্যবসার কারণে মেয়েকে নিয়ে ঘোরার ফুসরত মেলে কম। ঈদের সময়টায় ব্যবসায় চাপ কম থাকে। তাই মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে আসা। এখানে নানান প্রজাতির প্রাণি দেখে প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠেছে মেয়ে। তা দেখে নিজেরও ভীষণ ভালো লাগছে।
পাঠ্যপুস্তকের বাইরে প্রত্যেকটি প্রাণির সঙ্গে পরিচয়ের বাস্তব অভিজ্ঞতা শিশুদের জন্য ভীষণ দরকার বলে মনে করেন এ অভিভাবক।
জেইউ/এসএইচএস/জেআইএম