ঈদের নামাজ শেষে পশু কোরবানিতে ব্যস্ত নগরবাসী
সাত বছরের ছোট্ট শিশু মিম সাত সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকেই কোরবানির জন্য কেনা পশুর জবাই করা দেখবে বলে অপেক্ষা করছিল। যখনই গরুটিকে জবাই করার জন্য শোয়ানো হলো তখনই কান্না জুড়ে দেয় সে। তার বাবাসহ উপস্থিত সবাই তাকে সান্ত্বনা দেয়।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে মিমের বাবা জানান, হাট থেকে আনার পর থেকে ঘুমের সময়টুকু ছাড়া বাকি সময়টা গরুকে ঘাস খাওয়ানো, খৈল ও ভুষি খাওয়ানো, গরুর রশি ঠিক আছে কিনা, ঘুমাচ্ছে না জেগে আছে এ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় গরুটির প্রতি মায়া জন্মে গেছে তার। তাই কান্না জুড়ে দিয়েছে।
এমন দৃশ্য নগরীর সর্বত্র। আজ পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ শেষে পশু জবাইয়ে নগরবাসী ব্যস্ত হয়ে পড়েন। গরু-ছাগল জবাইয়ের সময় ছোট্ট শিশু মিমের মতো শিশুদের অনেকে কষ্টে কান্না জুড়ে দেয়। দুদিনের জন্য শিশুদের একেকজন ক্ষুদে রাখাল হয়ে গিয়েছিল।
সরেজমিন দেখা গেছে, সকাল সাড়ে ৭টার পর থেকেই বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় গরু-ছাগল জবাই শুরু হয়। বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসার শিক্ষক ও ছাত্ররা ধারালো অস্ত্র হাতে ঘুরে ঘুরে আল্লাহু আকবর ধ্বনি উচ্চারণ করে জবাইয়ের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কেউ কেউ আবার নিজের হাতে পশু জবাই করে। জবাই করার সঙ্গে সঙ্গে পানির পাইপ দিয়ে রক্ত ধুয়ে দিতে দেখা যায়। এ সময় মাদরাসার ছাত্রদেরও কোরবানির পশুর দান করা চামড়া সংগ্রহে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়।
এমইউ/এসএইচএস/এমএস