‘এইরাম দাম পড়ে যাবে ভাবতিই পারিনি’

মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল
মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল , বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:৩৯ পিএম, ১১ আগস্ট ২০১৯

‘মামা, খুদার কসম কচ্ছি গরুটা ১ লাখের বেশি টাকা দিয়ে কিনিছি। গতকালও কাস্টমার ১ লাখ ২০ হাজার টাকা কইছে কিন্তু দিইনি। এইরাম দাম পড়ে যাবে ভাবতিই পারিনি। এই এট্টা গরু নিয়ে এখন কনে যাব? দেন আপনি এক লাখ টাকা দেন।’

রোববার রাত সাড়ে আটটায় রাজধানীর রহমতগঞ্জ পশুর হাটে চার নেতার উদ্দেশে অনুরোধ জানিয়ে কথাগুলো বলছিলেন কুষ্টিয়ার ব্যাপারি রমিজ উদ্দিন।

কিন্তু ক্রেতা ৮০ হাজার টাকার উপরে দেবেন না বলে জানান। অনেকক্ষণ দর কষাকষির পর ৮৫ হাজার টাকায় বিক্রি হলো গরুটি। বাজেটের মধ্যে ভালো গরু কিনে ক্রেতা খুশি হলেও বিক্রেতার মন খুবই খারাপ।

cow-2

এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে রমিজ উদ্দিন বলেন, ‘এক মাসেরও বেশি সময় ধরে কষ্ট করে গরুটা লালন পালন করলাম কিছু লাভের আশায়। কিন্তু গড়পড়তায় লুকসান হচ্ছে। হয়তো পুঁজিটা ওটপেনে কিন্তু এই যে পরিশ্রম একদমই বৃথা হয়ে গেল।’

শুধু রমিজ উদ্দিন নয়, রহমতগঞ্জ পশুর হাটের অধিকাংশ গরু ব্যাপারির কণ্ঠে একই সুর। রাত সাড়ে আটটা বেজে গেল হাটের বেশ খানিকটা জায়গা জুড়ে অনেক গরু নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায় ব্যবসায়ীদের।

cow-2

ক্রেতারাও জানালেন, গতকালের চেয়ে হাটে গবাদি পশুর দাম কম। গরু বিক্রেতারা বললেন, শেষ মুহূর্তে এসে ক্রেতারা উল্টাপাল্টা দাম বলছেন। গতকাল বিক্রি না করে ভুল হয়েছে। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন যারা প্রায় সবকটি গরু বিক্রি করেছেন কিন্তু হাতেগোনা কয়েকটি গরু রয়ে গেছে। তারা কম দামে বিক্রি করে বাড়ি যেতে চাইছেন।

কয়েকজন বিক্রেতা জানালেন, শেষ পর্যন্ত বিক্রি করতে না পারলে ট্রাক ভাড়া করে বাড়িতে নিয়ে যাবেন। লোকসান দিয়ে কিছুতে বিক্রি করবেন না।

এমইউ/এনডিএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।