নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দিতে ডিএনসিসি মেয়রের আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৫১ পিএম, ১১ আগস্ট ২০১৯

নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দিতে এবং যত্রতত্র বর্জ্য না ফেলতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

রোববার রাজধানীর ভাষানটেক ও তেজগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট খেলার মাঠে পশুর হাট পরিদর্শনকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

পরিদর্শনকালে মেয়র স্থানীয় বাসিন্দা, পশু ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সাথে কথা বলেন এবং কুশল বিনিময় করেন। ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও এলাকার বাসিন্দারা পশুর হাটের সুন্দর ব্যবস্থাপনা করার জন্য মেয়রকে ধন্যবাদ জানান।

মেয়র বলেন, যত দ্রুত সম্ভব আমরা পশুর হাটের আবর্জনা ও অস্থায়ী স্থাপনা পরিষ্কার করে এলাকবাসীর চলাচল নির্বিঘ্ন করবো।পশু কোরবানির বর্জ্য কোনোভাবেই যাতে কেউ ড্রেনে বা ম্যানহোলে না ফেলে সেদিকে এলাকাবাসীকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আপনারা ডিএনসিসি কর্তৃক দেয়া ব্যাগে বর্জ্য ভরে নির্দিষ্ট স্থানে রেখে দিন। আমাদের কর্মীরা দ্রুততম সময়ে সেটি অপসারণ করবে। কিন্তু ড্রেনে বা যত্রতত্র আবর্জনা ফেললে সেটি পরিষ্কার করা দুরূহ হয়ে পড়বে এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠবে। নিজেদের এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখতে নিজেদের সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। তিনি রাস্তায় যত্রতত্র পশু কোরবানি না করে সিটি কর্পোরেশন নির্ধারিত স্থানে কোরবানি করার আহ্বান জানান।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসি কর্তৃক কোরবানির জন্য সর্বমোট ১০০ জন ঈমাম ও ২০০ জন মাংস প্রস্তুতকারীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এছাড়া এই প্রথমবারের মতো ডিএনসিসি কর্তৃক মহাখালী পশু জবাইখানায় যারা কোরবানির পশু নিয়ে আসবেন, তাদের পশু জবাই ও মাংস প্রস্তুত বাবদ ২৫% খরচ ডিএনসিসি বহন করবে। নাগরিকদের মাংস পরিবহনে প্রয়োজনে ডিএনসিসির গাড়ি ব্যবহার করে মাংস বাড়ি পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

কোরবানির বর্জ্য অপসারণের জন্য বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের আওতায় ডিএনসিসির নিজস্ব ২ হাজার ৪০০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ হাজার ৪৩৫ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী কাজ করবে। এছাড়া আরো ১ হাজার ১০০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবং বাসা-বাড়ি থেকে ভ্যান সার্ভিসের মাধ্যমে বর্জ্য সংগ্রহ করার জন্য প্রায় ৪ হাজার ৫০০ জন শ্রমিক কোরবানির বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম শফিউল হেমায়েত হোসেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা খোন্দকার নাজমুল হুদা শামিম, সম্পত্তি কর্মকর্তা সগীর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এএস/এমএসএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।