অস্থায়ী পশুর হাটের বর্জ্য অপসারণ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:০৮ পিএম, ১১ আগস্ট ২০১৯

রাজধানীর বিভিন্ন অস্থায়ী পশুর হাটের বর্জ্য অপসারণ ইতোমধ্যে শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। রোববার বিকেল থেকে এ বর্জ্য অপসারণ শুরু হয়।

যে সব হাটে পশু বেচাকেনা শেষ হয়েছে ওই সব হাটের বর্জ্য অপসারণ শুরু হয়েছে। সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন পশুর হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

পুরান ঢাকার সামসাবাদ মাঠ ও নয়াবাজার পশুর হাটে দুপুর থেকেই রাস্তার পশুর হাটে বর্জ্য অপসারণ শুরু করে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা।

kurbani-hat-(1).jpg

ইকবাল নামে এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী বলেন, ‘আগের বছরগুলোতে ঈদের আগের দিন রাত থেকে বর্জ্য অপসারণ শুরু করতাম। এবার মেয়রের নির্দেশে সকাল থেকে কাজ শুরু হয়েছে। হাটের যে সব স্থানে গরু ছিল না ওইসব জায়গা পরিষ্কার করা হচ্ছে। রাতের মধ্যে বর্জ্য অপসারণ শেষ করতে পারব। একইভাবে প্রত্যেক এলাকার কর্মীরা কাজ করছেন।’

এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ঘোষণা দিয়েছেন, আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানি পশুর বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা হবে। গত বৃহস্পতিবার পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পরিবহন চালকদের নির্দেশনামূলক সভায় এ ঘোষণা দেন তিনি।

মেয়র বলেন, ‘ঈদের দিন নামাজের পর সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি হয়। এ বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা হবে। রাজধানীতে ঈদের পরদিন কিছু কোরবানি হয় এবং তৃতীয় দিনও কিছু পশু কোরবানি হয়। দ্বিতীয় দিনে যে কোরবানি হবে তার বর্জ্য ওই দিন রাতে অপসারণ করা হবে এবং তৃতীয় দিনের বর্জ্য ওই দিনই অপসারণ করা হবে।’

kurbani-hat-(1).jpg

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে ডেঙ্গু পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। যদি কোরবানির বর্জ্য, পানি, রক্ত ইত্যাদি অপসারণ না করা হয় তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেবে।’

কারও এলাকায় যদি বর্জ্য থেকে যায় তাহলে সিটি কর্পোরেশনের হটলাইন নম্বর- ০৯৬১১০০০৯৯৯ এ ফোন করার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘হটলাইনে অপারেটররা আপনার বাসা-বাড়ি কিংবা এলাকায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী পাঠিয়ে দেবেন।’ এ ছাড়া বর্জ্য অপসারণের সার্বিক কাজ ফেসবুকে তদারকি করা হবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে কোরবানির আগেপরে পশুর বর্জ্য অপসারণে সবার সহযোগিতা চেয়েছে সরকার। শুক্রবার সরকারি এক তথ্য বিবরণী এবং স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ করা হয়। নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির পশু জবাইয়ের পাশাপাশি বর্জ্য দ্রুত অপসারণের আহ্বান জানানো হয়।

kurbani-hat-(1).jpg

একইসঙ্গে যারা বাড়ির আঙিনায় পশু কোরবানি করবেন তাদেরও নিজ দায়িত্বে বর্জ্য অপসারণের আহ্বান জানানো হয়।

সরকারি তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, সবার সুস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে কোরবানির দিন দ্রুততম সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণে সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য জনগণের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, কোরবানির পশুর রক্ত, নাড়িভুড়ি, গোবর, চামড়া ইত্যাদি সুষ্ঠুভাবে অপসারণ না করলে চারদিকে দুর্গন্ধময় পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে।

এ বর্জ্য নর্দমায় ফেললে রোগ জীবাণু ছড়িয়ে মানুষকে আক্রান্ত করে। প্রায় ক্ষেত্রে অতিরিক্ত বর্জ্যের চাপে ড্রেন বা নর্দমা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। আবার অল্প বৃষ্টিতে নর্দমা আটকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতে পারে।

এসআই/এনডিএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।