হাসি ফুটেছে মৌসুমি গো-খাদ্য বিক্রেতাদের মুখে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:২৭ পিএম, ১১ আগস্ট ২০১৯

মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব ঈদুল আজহা আগামীকাল। এ ঈদের প্রধান মাহাত্ম্য কোরবানি। ইতোমধ্যে অনেকেই কোরবানির পশু ক্রয় করেছেন। অনেকে হয়তো আজ কিনবেন। শেষ দিনে রাজধানীতে জমজমাট কোরবানির পশু কেনাবেচা। সেই সঙ্গে জমে উঠেছে গো-খাদ্য বেচাকেনাও।

প্রতি কোরবানির ঈদের মতো এবারও রাজধানীর পথে পথে বসেছে গো-খাদ্যের অস্থায়ী দোকান। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা অনেকে দোকান সাজিয়ে পাড়া মহল্লার অলিতে-গলিতে বিক্রি করছেন গো-খাদ্য। কাল দুপুর পর্যন্ত পুরোদমে চলবে গো-খাদ্যের বেচাকেনা।

গো-খাদ্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, এসব বিক্রি করে মুনাফা লাভ প্রধান লক্ষ্য হলেও, কোরবানির পশু ক্রয়কারী নগরবাসীকে সঠিক সময়েই গো-খাদ্য হাতে তুলে দেয়াও এক রকম সেবা।

cow-food-2.jpg

রোববার রাজধানীর কল্যাণপুর, কারওয়ান বাজার, মতিঝিল ও তেজগাঁওয়ের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতারা কোরবানির পশুর জন্য খড়, ঘাস, ভূসি কিনতে ভিড় করছেন। অনেকে আবার কিনে নিচ্ছেন পশু জবাইয়ের কাঠের গুঁড়ি, পাটি, দড়ি, ছুরি-চাপাতি।

কারওয়ান বাজার এলাকার কাঁচাবাজার এলাকায় দেখা যায়, সবজি ও ফলের অস্থায়ী দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে কোরবানি পশুর বিভিন্ন ধরনের খাবার, মাংস রাখার পাটি, মাংস কাটার কাঠের গুঁড়ি।

কল্যাণপুর লেকভিউ রোড এলাকার সবজি ব্যবসায়ী শাহজাহান বলেন, ঢাকা তো ফাঁকা। সবজি কেনার ক্রেতা নেই বললেই চলে। ভ্যানে ফেরি করে সবজি বিক্রি করতাম এখন খড়, ঘাস, ভুসি বিক্রি করতেছি। লোকসান বা বসে থাকার এই সময়ে সপ্তাহখানেক ধরে বাড়তি লাভের ব্যবসা।

কারওয়ান বাজার মুরগি পট্টি সংলগ্ন এলাকার গো-খাদ্য বিক্রেতা মোশাররফ জানান, তিনি প্রতি কেজি ভুসি ৪০ টাকা, প্রতি আটি খড় ২০-৩০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।

cow-food-2.jpg

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার পেছনে গরুর হাটের সাথে লাগোয়া গো-খাদ্য দোকানদার আলতাব হোসেন বলেন, সারা বছর আমি ফলের ব্যবসা করি। আর কোরবানির ঈদের চার পাঁচ দিন ফলের সাথে গো-খাদ্য বিক্রি করি। ফল কেনার লোক কমলেই গো-খাদ্য বিক্রি চলবে কোরবানি পর্যন্ত। অতিরিক্ত লাভের আশায় কয়েক বছর ধরে এ ব্যবসা করছি।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গো-খাদ্য একেক স্থানে একেক দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে যে যেভাবে পারছেন ক্রেতাদের কাছ থেকে দাম নিচ্ছেন। এতে ক্রেতাদের কোনো অভিযোগ নেই। বরং হাতের নাগালে গো-খাদ্য পেয়ে তারা খুশি।

গো-খাদ্য ছোলার ভুসি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঘাসের আটি ১০ থেকে ২০ টাকা, তুষের ভুসি কেজি ৬০ টাকা, খৈল কেজি ৬০ টাকা ও খেসারি ভুসি ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মতিঝিলে গরুর জন্য ঘাসের আটি ৩০ টাকা দরে ৪টি আটি কিনে ফেরার পথে সবুর মিয়া নামে এক ক্রেতা বলেন, এবার দেড়লাখে গরু কিনেছি। আজ বাদে কাল আল্লাহ'র সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি দেব। সেখানে ২-১টা দিন গরুটাকে না খাইয়ে রাখা জুলুম। গরুর যাতে খাবার নিয়ে কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য সব ধরনের খাবার কিনেছি।

জেইউ/এমএসএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।