হোটেল ওলিও’তে হামলা : ১৪ জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত অভিযোগপত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:১০ পিএম, ১১ আগস্ট ২০১৯

২০১৭ সালের ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের র‌্যালিতে হামলার উদ্দেশে হোটেল ওলিও’তে সন্ত্রাসী হামলার মামলায় ১৫ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে ডিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) বিভাগ।

ঘটনার দুই বছর তদন্ত শেষে রোববার দুপুরে এতথ্য জানান কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।

ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঘটনার সাথে ১৫ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তারা হলেন আকরাম হোসেন খান নিলয়, তানভীর ইয়াসীন কবির, আবু তুরাব খান, সাদিয়া হোসনা লাকি, হুমায়রা জাকির নাবিলা, তাজরীন খানম শুভ, আব্দুল্লাহ আয়চান কবিরাজ, আবুল কাশেম ফকির, লুলু সরদার ওরফে শহিদ মিস্ত্রি, তাজুল ইসলাম ছোটন, নাজমুল হাসান মামুন, নব মুসলিম আব্দুল্লাহ, কামরুল ইসলাম শাকিল, তারেক মো. আদনান ও সাইফুল ইসলাম।

হামলাকারী সবাই নব্য জেএমবি’র সক্রিয় সদস্য। এদের মধ্যে হামলার শুরুতেই আত্মঘাতি হয়ে মারা গেছেন বোমা হামলাকারী সাইফুল ইসলাম।

মনিরুল ইসলাম বলেন, সাইফুল নিহত হওয়ায় বাকি ১৪ জনের নামে আমাদের অভিযোগপত্র চূড়ান্ত করা হয়েছে। গ্রেফতার ১৪ জনের মধ্যে ১০ জন ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। তাদের কৃতকর্মের দায়দায়িত্ব ও প্রাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তদন্ত শেষে বর্ণিত আসামীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে অভিযোগপত্র দাখিলের নিমিত্তে সরকারের পূর্বানুমোদনের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ১৫ জনের মধ্যে ১৪ জনকেই গ্রেফতার করেছে ডিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ।

ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী হচ্ছেন মাস্টারমাইন্ড আকরাম হোসেন খান নিলয়, অর্থ সরবরাহকারী তানভীর ইয়াসীন কবির, আবু তুরাব খান, সাদিয়া হোসনা লাকি, হুমায়রা জাকির নাবিলা ও তাজরীন খানম শুভ। ওই ঘটনায় বোমা সরঞ্জাম সরবরাহ করে আবুল কাশেম ফকির, লুলু সরদার ওরফে শহিদ মিস্ত্রি, তাজুল ইসলাম ছোটন।

ঢাকার একটি আস্তানায় বোমা প্রস্তুত করে নাজমুল হাসান মামুন। আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী ছিলেন সাইফুল ইসলাম। ওই ঘটনায় আশ্রয়দাতা ও সহায়তাকারী নব মুসলিম আব্দুল্লাহ, কামরুল ইসলাম শাকিল, তারেক মোঃ আদনান ও আব্দুল্লাহ আয়চান কবিরাজ।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৫ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের অদূরে শুক্রাবাদের পান্থপথে অবস্থিত হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালের পুরনো ভবনে জঙ্গিরা আশ্রয় নেয়ার খবরে অভিযানে যায় কাউন্টার টেরোরিজমসহ অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

ওই অভিযানে সাইফুল নামে এক জঙ্গি আত্মঘাতী হামলায় মারা যায়। ঘটনার পর সিটিটিসি’র পক্ষ থেকে বলা হয়, তার কাছে যে বোমা ছিল তা নিয়ে ওইদিন ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি সংগঠনের একাংশ কথিত নব্য জেএমবি’র।

জেইউ/এএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।