সদর ঘাটে পৌঁছাতেই যাত্রীদের নাভিশ্বাস

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:০০ পিএম, ১০ আগস্ট ২০১৯
ফাইল ছবি

রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনায়াসে আসা গেলেও সদর ঘাট লঞ্চ টার্মিনালের আগ দিয়ে তীব্র যানজটে পড়ছেন ঘরমুখো যাত্রীরা। নারী-শিশুসহ বিভিন্ন বয়সীদের কিছুটা দূর থেকেই হেঁটে যেতে হচ্ছে লঞ্চ টার্মিনালের ভেতরে।

ঈদের আনন্দ স্বজনদের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ফাঁকা হতে শুরু করেছে ঢাকা। সেই থেকে ঘরমুখো যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় রাজধানীর বাস, ট্রেন, টার্মিনালগুলোতে। এর ব্যতিক্রম নয় সদর ঘাটের লঞ্চ টার্মিনালও। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের নৌপথে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই সদর ঘাট লঞ্চ টার্মিনাল।

শনিবার ভোর থেকেই ঘরমুখো যাত্রীদের স্রোত চলছে সদর ঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। সরেজমিনে দেখা যায়, প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে বাড়ির পানে ছুটছে মানুষ। ঈদযাত্রার শেষ মুহূর্তেও নদীপথে লেগে আছে ঘরমুখী মানুষের ভিড়। দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গা থেকে যাত্রী নিয়ে আসা প্রতিটি লঞ্চ এখন কানায় কানায় পূর্ণ।

সকাল থেকে সদরঘাট টার্মিনাল ছেড়ে যাওয়া হুলারহাট, বরিশাল, পটুয়াখালী, বাউফল, পিরোজপুর, ভান্ডারিয়া, শরীয়তপুর, বরগুনা, ভোলা, চরফ্যাশন, দুমকি, আমতলীসহ বেশ কয়েকটি পথের বেশিরভাগ লঞ্চ ছিল যাত্রীতে ভরা।

রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে থাকে পটুয়াখালীর পলিটেকনিক রোডের মিল্টন শিকদার। স্ত্রী ও শিশু সন্তান নিয়ে ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়িতে যাচ্ছেন।

সদর লঞ্চ টার্মিনালে প্রবেশের আগে মিল্টন শিকদার বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে হেঁটে আসতে হচ্ছে। জনসন রোডের আগে থেকেই প্রচণ্ড যানজট। স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে এই পরিস্থিতিতে অনেক কষ্ট করে লঞ্চ টার্মিনাল পর্যন্ত আসতে হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ঈদের সময় এমন পরিস্থিতি নতুন নয়। লঞ্চে উঠলেই এই কষ্ট আর মনে থাকে না। কারণ বাড়িতে যাব। মায়ের সাথে ঈদ করবো। বাচ্চারা তাদের দিদাকে পাবে।’

উত্তরা থেকে লঞ্চ টার্মিনাল পর্যন্ত পৌঁছাতে পুরো ঘেমে গেছেন। ঝর্ণা রহমান। যাবেন বরিশালের কাশিপুরে। তিনি বলেন, উত্তরা থেকে আসতে যতটা না বেগ পেতে হয়েছে তার চেয়ে বেশি বেগ পেতে হয়েছে টার্মিনালে ঢুকতে। প্রচণ্ড যানজট, এই গরমের মধ্যে ব্যাগ নিয়ে বেশ খানিকটা পথ হেঁটে এসে একদম ঘেমে গিয়েছি।

ঢাকা নদী বন্দরের পরিবহন পরিদর্শক মো. হেদায়েতুল্লাহ জানান, সকাল থেকে ঘাটে ৩৬টি লঞ্চ এসেছে, ছেড়ে গেছে বিভিন্ন রুটের ২০টি লঞ্চ। আমরা কাউকে ছাদে উঠতে দেইনি। তেমনি কোনো বিশৃঙ্খলাও নেই। আর লঞ্চগুলো যাত্রীতে পরিপূর্ণ হলেই ছেড়ে যাচ্ছে।

নৌ পুলিশের ইন্সপেক্টর এম এ মান্নান বলেন, আমরা ঘাটে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। এখন পর্যন্ত কোনো বিশৃঙ্খলার খবর পাইনি। তবে আমরা সব সময়ই সতর্ক অবস্থানে আছি। যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য ২৪ ঘণ্টাই কাজ করছি।

এদিকে ঈদের ঘরমুখো যাত্রীতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আনইশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।

কেএইচ/এমআরএম/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।