গাইবান্ধায় ডায়রিয়া নয় কলেরার সংক্রমণ ঘটেছিল


প্রকাশিত: ০৭:৪৯ এএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫

গাইবান্ধায় ডায়রিয়া নয়, কলেরার সংক্রমণ ঘটেছিল। মহাখালী রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর রোগতত্ত্ববিদরা আক্রান্তদের পায়খানা নমুনা পরীক্ষায় কলেরার জীবানু পেয়েছেন। কলেরা র্যাপিড টেষ্ট নামে এক ধরনের কিটসে্র মাধ্যমে এ পরীক্ষা করা হয়।

আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহমুদুর রহমান মঙ্গলবার জাগো নিউজকে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গাইবান্ধা সদরের একটি বিশেষ এলাকায় পয়নিষ্কাসন ব্যবস্থা খারাপ। খাবার পানির লাইনের সাথে কোথাও কোথাও সংমিশ্রন ঘটেছে। তিনি ওই এলাকার মানুষকে পানি ফুটিয়ে খাওয়া, ফিটকারি কিম্বা পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দিয়ে ফিল্টার করে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

তিনি জানান, ইতিমধ্যেই স্থানীয় প্রশাসন মাইকিং ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার পানি বিশুদ্ধ করে খাওয়ার প্রচার প্রচারণা চালানোর ফলে কলেরার উপদ্রব কমে আসছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ১৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছে স্থানীয় সিভিল সার্জন তাকে জানিয়েছেন।

সম্প্রতি গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে পেটের পীড়া নিয়ে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিন শতাধিক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়। নছিরন বেগম (৬৭) নামে এক বৃদ্ধা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

জানা যায়, গত বুধবার রাত এবং বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শহর এবং শহরতলীর ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীরা গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি হতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। নির্ধারিত ওয়ার্ডে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় হাসপাতাল ভবনে প্রবেশের প্রধান গেট বন্ধ করে করিডোরসহ বিভিন্নস্থানে রোগীদের গাদাগাদি করে রাখার ব্যবস্থা করা হয়।

প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা ডায়রিয়া মনে করলেও আইইডিসিআর এর কর্মকর্তারা শুরু থেকেই কলেরা হতে পারে বলে আভাস দিয়েছিলেন। এক সঙ্গে এতলোক আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে ঢাকার মহাখালী আইইডিসিআর এর ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. আল মামুন মাহবুব আলমের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি অনুসন্ধানী টিম শুক্রবার বিকেলে গাইবান্ধায় যান।

আইইডিসিআর পরিচালক জানান, আজই অন্য একটি টিমের গাইবান্ধায় পাঠানোর পরিকল্পনা করছিলেন। কিন্তু সিভিল সার্জন তাকে জানিয়েছেন, পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তিনি জানান, বর্তমানে গাইবান্ধা থেকে নিয়ে আসা পানি পরীক্ষার পাশাপাশি পায়খানার নমুনার কালচার করা হচ্ছে।

এমইউ/এআরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।