মন ভালো নেই মৌসুমি গো-খাদ্য বিক্রেতাদের

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১০:৩২ পিএম, ০৯ আগস্ট ২০১৯

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাজধানীতে মৌসুমি গবাদিপশুর খাদ্যসামগ্রী (গো-খাদ্য) বিক্রেতাদের আনাগোনা বেড়ে গেছে। এসব মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার রাস্তাঘাটে ও আনাচে কানাচে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যসামগ্রী খড়, ঘাস, ধানের কুড়া, গমের ভূষি, ডাবলি ও বুট সাজিয়ে নিয়ে বসেছেন। ভিন্ন পেশার এ সব লোকজন দু-তিন দিন বেচাকেনা করে বাড়তি মুনাফার আশায় মৌসুমি এ ব্যবসায় নেমেছেন।

গত দুদিন ধরে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে গো-খাদ্য সাজিয়ে নিয়ে বসলেও বেচাকেনা নেই বললেই চলে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। অন্য বছর কয়েকদিন আগে থেকেই গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন পশু বিক্রি শুরু হলেও এ বছর এখনও কোরবানি পশু বেচাকেনায় শুরু হয়নি। বেচাকেনা না হওয়ায় তাদের মন ভালো নেই।

লালবাগের চাদনিঘাট এলাকায় গো-খাদ্য পসরা সাজিয়েছিলেন ৭৫ বছর বয়সী আবদুল হাই। সারাবছর পেয়ারা, আমরা ও জাম্বুরা বিক্রি করলেও গত দুই বছর ধরে কোরবানির ঈদের সময় গো-খাদ্য বিক্রি করেন। ২/৩ দিন ভালো বেচাকেনা হলে হাজার পাচেক টাকা লাভ থাকে বলে জানান তিনি।
coe

তিনি আরও জানান, খড় এক মুঠো ১০ টাকা, ঘাস এক মুঠো ১০ টাকা, ধানের কুড়া প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকা, গমের ভূষি প্রতি কেজি ৪০ টাকা, ডাবলি প্রতিকেজি ৫০ টাকা ও বুট প্রতিকেজি ৬০ টাকা। শুক্রবার জুমার নামাজের পর আবদুল হাই ঘণ্টা দেড়েক বসে থেকে একটি টাকার গো-খাদ্য বিক্রি করতে পারেননি বলে জানান।

আজিমপুর ছাপড়া মসজিদের সামনে গো-খাদ্য বিক্রেতা জুয়েল রানা জানান, অন্য বছর ঈদের পাঁচ-ছয় দিন আগে থেকেই মানুষ গরু ছাগল কিনতো। কিন্তু এবার কেন জানি দুদিন আগেও নগরবাসী গরু-ছাগল কেনায় তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তবে আগামীকাল থেকে পশুরহাট জমে উঠবে এবং তাদের পণ্যসামগ্রীরও বেচাকেনা বাড়বে বলে আশা করছেন তিনি।

এমইউ/জেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।