জানালা দিয়ে ট্রেনে উঠতে খরচ ২০০ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৩৭ পিএম, ০৯ আগস্ট ২০১৯

প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। বাসে, ট্রেনে, লঞ্চে যে যেভাবে পারছেন নিজের গন্তব্যে ছুটছেন। প্রতি বছরই ঈদের সময়টাতে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় একটি পরিচিত দৃশ্য। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

শুক্রবার প্রায় দুই ঘণ্টা দেরিতে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে আসে ঢাকা থেকে পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস। ট্রেনটির ভেতরে যেমন যাত্রী, ছাদেও তেমনি পরিপূর্ণ। আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলেও ট্রেনটির ভেতরে যাত্রীর সংখ্যা মাত্রাতিরিক্ত হওয়ায় সবাই গরমে হাসফাঁস করছিলেন। যে যা পারছিলেন, তাই দিয়েই বাতাস করছিলেন। কেউ কেউ গরম সহ্য করতে না পেরে শরীরের জামাও খুলে ফেলেছেন।

এমন একজন দবিরুল ইসলাম। শুক্রবার (৯ আগস্ট) পরিবারের তিন সদস্য নিয়ে ঈদ করতে পঞ্চগড়ের গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন তিনি।

দবিরুল জাগো নিউজকে জানান, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের ভয়াবহ ভিড়। একতা এক্সপ্রেস কমলাপুর স্টেশনে আসার পর বেশকিছুক্ষণ ট্রেনের দরজার সামনে অনেক ঠেলাঠেলি করেছেন। কিন্তু ট্রেনে উঠতে পারেননি। এরপর চারজনে ২০০ টাকা দেন স্টেশনে মালামাল বহনকারী এক কুলিকে। সেই কুলির মালামাল টানার কাজে ব্যবহার করা ট্রলির ওপর দাঁড়িয়ে জানালা দিয়ে ট্রেনের ভেতরে প্রবেশ করেন তারা এবং নির্ধারিত সিটে বসেন।

‘কুলিদের আগে ২০০ টাকা দিতে হয়েছে, প্রত্যেক জনে ৫০ টাকা করে। ট্রেনের ভেতরে উঠে যদি টাকা না দিই, এই ভয়ে সে আগে টাকা নিয়েছে’, যোগ করেন দবিরুল।

টাকা দিয়ে কুলিদের ট্রলির উপর দাঁড়িয়ে জানালা দিয়ে এরকম আরও কয়েকজনকে ট্রেনে উঠতে দেখেছেন বলেও জানান পঞ্চগড়ের এই যাত্রী।

পিডি/এনএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।