জনশূন্য আশকোনা হজ ক্যাম্প
চলতি বছরের শেষ হজ ফ্লাইট ছিল আজ সোমবার (৫ আগস্ট)। বিকেল সোয়া ৩টায় বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের শেষ হজ ফ্লাইটটি ঢাকা ত্যাগ করে। হজ ফ্লাইট শেষ হওয়ার পর রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্প হয়ে পড়ে জনশূন্য।
দুপুর গড়াতেই হজযাত্রী শূন্য হয়ে যায় গোটা হজ ক্যাম্প। বিকেল গড়াতেই আশকোনার হজ ক্যাম্পে কর্মরত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রোভার স্কাউট সদস্যসহ সকল সংস্থার জনবল বিদায় নেন। বিকেল গড়াতেই একেবারেই চুপচাপ হয়ে যায় গোটা এলাকা।
কর্তব্যরত আনসার সদস্য মাজেদুর জানায়, গত বছরের আগের বছর হজ ক্যাম্পে টানা ৩০ দিন ডিউটি করেছি। লোকে লোকারণ্য হজ ক্যাম্পে এমন জনশূন্য হওয়া খুবই বেদনার। হজযাত্রীদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে হজ ক্যাম্পের প্রতি এক ধরনের মায়া তৈরি হয়। পরে বিদায়ের সময় কষ্ট হয়।
শেষ হজ ফ্লাইটের আগে দুপুরে হজ ক্যাম্পের নিজ কার্যালয়ের পরিচালক সাইফুল ইসলাম জানান, এবারের হজ ব্যবস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে, ফ্লাইট শিডিউলে জট লাগেনি, কোনো ফ্লাইট বাতিল হয়নি। হজযাত্রীদের পক্ষ থেকে বড় ধরনের কোনো অভিযোগও আসেনি। হজ ক্যাম্পের যাবতীয় কর্মকাণ্ড সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
হজ ক্যাম্প পরিচালক বলেন, যারা হজে যেতে পারেননি তারা সংখ্যায় কম হলেও তাদের জন্য সমবেদনা। যে দুইশ’ জন (২২২ জন) হজযাত্রী হজে যেতে পারেননি তাদের ব্যক্তিগত সমস্যা ছিল। এখানে কোনো এজেন্সির গাফিলতি ছিল না। যারা যাননি তারা সবাই স্বেচ্ছায় যাননি। তাদের কোনো অভিযোগ নাই। আমাদের কাছে তারা কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি।
সৌদি সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি অনুযায়ী, চলতি বছর ১ লাখ ২৬ হাজার ৯২৩ জন বাংলাদেশি হজে যাওয়ার কথা। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬ হাজার ৯২৩ জন এবং ১ লাখ ২০ হাজার কোটা বরাদ্দ ছিল বেসরকারি ব্যবস্থাপনার জন্য।
হাব জানিয়েছে, সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী অসুস্থতা ও অন্যান্য ব্যক্তিগত কারণে ২২২ জন হজযাত্রী স্বেচ্ছায় তাদের যাত্রা বাতিল করেন। বাদবাকিরা নিরাপদে পবিত্র নগরী মক্কায় গমন করেছেন।
এ বছরের হজ অনুষ্ঠিত হবে ১০ আগস্ট। হজ শেষে হাজিদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ১৭ আগস্ট এবং ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে ১৫ সেপ্টেম্বর।
আরএম/আরএস/জেআইএম