ডেঙ্গু মোকাবিলায় বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৪৮ পিএম, ০৫ আগস্ট ২০১৯
ডেঙ্গু রোগে বিচলিত বা আতঙ্কিত না হয়ে কিছু পরামর্শ ও সতর্কতা অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সোমবার (৫ আগস্ট) সরকারি তথ্য বিবরণীতে পরামর্শগুলো জানানো হয়েছে।
বাড়িতে চিকিৎসা চলাকালীন সতর্কতা
নিচের যেকোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলে অতিসত্ত্বর হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে-
>> জ্বর কমার প্রথম দিন রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি
>> বার বার বমি বা মুখে তরল খাবার খেতে না পারা
>> পেটে তীব্র ব্যথা
>> শরীর মুখ বেশি দুর্বল অথবা নিস্তেজ হয়ে পড়া বা হঠাৎ করে অস্থিরতা বেড়ে যাওয়া
>> শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক কমে যাওয়া বা শরীর অস্বাভাবিক ঠান্ডা হয়ে যাওয়া
বাড়িতে চিকিৎসা
>> পর্যাপ্ত বিশ্রাম (জ্বর চলাকালীন এবং জ্বরের পর এক সপ্তাহ)
>> স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার খাওয়া, যেমন- খাবার স্যালাইন, গ্লুকোজ, ভাতের মাড়, বার্লি, ডাবের পানি, দুধ/হরলিকস, বাসায় তৈরি ফলের রস, স্যুপ ইত্যাদি।
জ্বর থাকাকালীন চিকিৎসা- প্যারাসিটামল ট্যাবলেট
>> পূর্ণবয়স্কদের জন্য- দুটি করে প্রতি ৬/৮ ঘণ্টা পরপর
>> বাচ্চাদের জন্য- বয়স ও ওজন অনুসারে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী
>> জ্বর থাকাকালীন রোগী দিন-রাত সবসময় মশারির ভেতরে থাকবে
জ্বর থাকাকালীন নিম্নোক্ত ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে-
>> ব্যথানাশক ঔষধ (এনএসএআইডি গ্রুপ যেমন- ডাইক্লোফেন, আইবুপ্রোফেন, ন্যাপারক্সেন, মেফেন)
>> এসপিরিন/ক্রোপিডোপ্রেল (অ্যান্টি প্লাটিলেট গ্রুপ) হৃদরোগীদের জন্য জ্বর থাকাকালীন ও প্লাটিলেট হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে
>> ওয়ারফারিন (অ্যান্টিকোয়াগুলেন্ট) হৃদরোগীদের জন্য জ্বর থাকাকালীন ও প্লাটিলেট হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে
>> অ্যান্টিবায়েটিক জাতীয় ওষুধ (বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া)
>> কুসুম গরম পানি বা নরমাল তাপমাত্রার পানি দিয়ে সারা শরীর মোছা
>> বাড়ি ও এর আশেপাশের এডিস মশার সম্ভাব্য প্রজননস্থল নিশ্চিহ্ন করা এবং মশার আবাসস্থলে স্প্রে করা
আরএমএম/এমএআর/এমএস