অধিকার খর্বের অভিযোগ মাহবুব তালুকদারের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:১৮ পিএম, ০৪ আগস্ট ২০১৯
ফাইল ছবি

নির্বাচন কমিশনে (ইসি) তার স্বাধীনতা নেই দাবির পর এবার অধিকার খর্বের অভিযোগ এনেছেন জ্যেষ্ঠ কমিশনার মাহবুব তালুকাদার। নির্বাচন কমিশনের ৫০তম সভায় মতামত দিলেও তা কার্যপত্র থেকে বাদ দেয়ায় তিনি এই অভিযোগ আনেন।

এর আগেও একাধিকবার সভায় নোট অব ডিসেন্ট (ভিন্নমত) দিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। এমনকি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়েও নানা মন্তব্য করেন বিএনপি মনোনীত এই কমিশনার।

ইসির একাধিক সূত্র জানায়, সর্বশেষ বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা ও ইসি সচিব মো. আলমগীরের কাছে লেখা এক আন অফিসিয়াল (ইউও) নোটে এ অভিযোগ করেন তিনি।

নির্বাচন কমিশন সভার কার্যবিবরণীতে বক্তব্য অন্তর্ভুক্ত না করা প্রসঙ্গে ইউও নোটে তিনি উল্লেখ করেন, গত ২১ জুলাই আমি নির্বাচন কমিশনের ৫০তম সভায় উপস্থিত ছিলাম। সভায় আমি ২৫ জুলাই ২০১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত নির্বাচন সম্পর্কে রূপগঞ্জ উপজেলার ‘কাঞ্চন’ পৌর এলাকার শান্তিপ্রিয় জনগণের নামে প্রচারিত কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের প্রতি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করি।

এতে এলাকার জনগণ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ভীতিমুক্ত ও সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ওই নির্বাচনটি যাতে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হয়, সে সম্পর্কে আমি কমিশন সভায় বক্তব্য দিই।

নির্বাচন কমিশনের ৫০তম সভার কার্যবিবরণীর খসড়া আমার কাছে পেশ করা হলে আমার বক্তব্য তাতে অন্তর্ভুক্ত না থাকায় আমি নথিতে লিখি- ‘৫৮। নির্বাচন কমিশনের ৫০তম সভায় আমি রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার আসন্ন নির্বাচন সম্পর্কে বক্তব্য দিয়েছিলাম। বিষয়টি কার্যবিবরণীভুক্ত করে পুনরায় পেশ করা যেতে পারে।’

‘নথিটি আমি সচিবের কাছে ফেরত পাঠাই। সচিব আমার কাছে পুনরায় নথি পেশ না করে আমাকে পাশ কাটিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছ থেকে কার্যবিবরণীটি অনুমোদন করিয়ে নেন। আমার কাছে বিষয়টি আইনসিদ্ধ বলে মনে হয়নি। এতে আমার অধিকার খর্ব হয়েছে।’

তিনি আরো লেখেন, ‘নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আমার বক্তব্য কার্যবিবরণীতে লিপিবদ্ধ না করার যদি কোনো সঙ্গত কারণ থাকে, তা আমাকে অবহিত করা প্রয়োজন ছিল। ইতোপূর্বে কমিশন সভায় বক্তব্যর জন্য আমাকে লিখিতভাবে অনুরোধ জানিয়েও পরে তা পেশ করতে দেয়া হয়নি। নির্বাচন কমিশন সভায় আমার উপস্থাপিত বক্তব্য যদি কার্যবিবরণীতে অন্তর্ভুক্ত না করা হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন সভায় আমার উপস্থিতিরও কোনো আবশ্যকতা থাকে না। এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনে একটি খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে।’

এইচএস/এমআরএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।