আমরা আসছি বলে এই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ : মেয়র

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৩৬ পিএম, ০৩ আগস্ট ২০১৯

ফার্মগেট বাসস্ট্যান্ডে যে দু-একটা সিগারেটের পোড়া অংশ, কাগজ রয়েছে, সেগুলোও খুটে খুটে পরিষ্কার করা হলো। স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় ছিটানো হলো ওষুধসহ বিভিন্ন ধরনের পরিষ্কারক। বাসস্ট্যান্ডে নির্ধারিত জায়গা ছাড়া যত্রতত্র বাস থামছিল না। সার্বিকভাবে এত পরিচ্ছন্ন ও সুশৃঙ্খল বাসস্ট্যান্ডটির দেখা মেলে না। তবে শনিবার (৩ আগস্ট) দেখা মিলল এ অন্য এক রূপ।

এতসব আয়োজন ছিল ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘পরিষ্কার রাখি চারপাশের পরিবেশ, পরিচ্ছন্ন সমাজ-ডেঙ্গুমুক্ত বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সচেতনতামূলক কর্মসূচিকে সামনে রেখে। এতে অংশ নেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, এমপি আসলামুল হকসহ ক্ষমতাসীন দলটির নেতাকর্মীরা।

atiq-3.jpg

এ কর্মসূচি বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১২টার পর শেষ হয়। এরপর আবারও নোংরা হয়ে ওঠে রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত এ স্থানটি। পড়ে থাকতে দেখা যায়, কর্মসূচিতেই ব্যবহৃত লিফলেট। কর্মসূচির আগ পর্যন্ত যে ১০ জনের বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে অনবরত কাজ করতে দেখা যায়, পরে তাদেরও আর খোঁজ মেলেনি। এ অপরিচ্ছন্নতা বর্তমানে ভয়াবহ রূপ ধারণ করা ডেঙ্গু রোগের অন্যতম কারণও।

কর্মসূচির শেষ পর্যায়ে এক সংবাদকর্মী ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলামের কাছে জানতে চান, আপনারা আসলেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়, বাকি সময় নোংরাই থাকে এসব জায়গা।

atiq-3.jpg

সংবাদকর্মীর প্রশ্নের যৌক্তিকতা রয়েছে উল্লেখ করে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আপনি ঠিকই বলেছেন যে, আজকে আমরা এখানে আসছি বলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করছে। কালকে আবার অপরিচ্ছন্ন হয়ে যাবে।’

পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আপনি যে কথাটা বলেছেন, আসলে আমাদের টোটালটাকেই একটা সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। এটাই কিন্তু গ্যাপ আমাদের। আমাদের মনিটরিংটা কিন্তু নেই।’

atiq-3.jpg

সমাধান তুলে ধরে উত্তরের মেয়র বলেন, ‘আমি আপনাদের বলেছি, আমার সততার অভাব নাই, কিন্তু অভিজ্ঞতার অভাব আছে। যারা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছে, তাদের ডিজিটাল মনিটরিং কীভাবে করা যায়…। যতদিন ডিজিটাল মনিটরিং করতে না পারব এবং তারা কীভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছে, জায়গায় যাচ্ছে কি না যাচ্ছে…, ততদিন পর্যন্ত এই গ্যাপ থেকেই যাবে।’

ডিজিটাল মনিটরিং, কমান্ড সেন্টার করা এবং কমান্ড সেন্টারের মাধ্যমে টোটাল মনিটরিং করা হবে বলেও জানান মেয়র।

পিডি/জেডএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।