টিকিট বিক্রি শেষ, তবু থাকছে ট্রেনে যাওয়ার সুযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৩৩ পিএম, ০২ আগস্ট ২০১৯

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে রেলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয় ২৯ জুলাই থেকে। ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিটের সিডিউল অনুযায়ী শুক্রবার ১১ আগস্টের টিকিট বিক্রির মাধ্যমে এ কার্যক্রম শেষ হয়। অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে প্রতিদিনই কমলাপুর রেলস্টেশনে ছিল টিকিট প্রত্যাশীদের উপচেপড়া ভিড়।

এই ভিড়ের মধ্যে যারা টিকিট কাটতে পেরেছেন তারা এসি চেয়ার, শোভন চেয়ারসহ অন্যান্য টিকিট হাতে পেয়েছেন। যারা লাইনে দাঁড়িয়েও অথবা ব্যস্ততার কারণে টিকিট সংগ্রহ করতে পারেননি তারা ঈদযাত্রার ওইসব ট্রেনের স্ট্যান্ডিং টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন ট্রেন ছাড়ার দুই ঘণ্টা আগে থেকে। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের ট্রেনের ঈদযাত্রা শুরু হবে ৭ আগস্ট থেকে।

আসন স্বল্পতার কারণে যেসব যাত্রীরা ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে পারেনি। তাদের সুবিধার্থে ঈদযাত্রার শুরু হওয়ার দিন থেকে প্রতিটি ট্রেন ছাড়ার দুইঘণ্টা আগে ৩০ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছেন কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ আমিনুল হক।

শুক্রবার (২ আগস্ট) কমলাপুর রেলস্টেশনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব জানান। তিনি বলেন, যাত্রীদের সুবিধার্থে আন্তঃনগরসহ চারটি স্পেশাল ট্রেনে দেয়া হবে স্ট্যান্ডিং টিকিট। তবে কোনো যাত্রীকেই ট্রেনের ছাদে এবার ওঠতে দেয়া হবে না। আমরা চেষ্টা করব সিডিউল অনুযায়ী যেন সব ট্রেন চলাচল করতে পারে।

স্টেশন ম্যানেজার বলেন, বন্যার কারণে যেসব রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেসব রুট ঈদের আগেই মেরামত করা হবে। যদি ঈদের আগে সব রুট মেরামত করা না যায় তাহলে রুট পরিবর্তন করে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া হবে। তবে সেক্ষেত্রে সময় কিছুটা বেশি সময় লাগতে পারে।

অন্যদিকে রেলের ফিরতি টিকিট বিক্রি ৫ আগস্ট শুরু হয়ে ৯ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। আগামী ৫ আগস্ট দেয়া হবে ১৪ আগস্টের টিকিট, ৬ আগস্ট ১৫ আগস্টের, ৭ আগস্ট ১৬ আগস্টের, ৮ আগস্ট ১৭ আগস্টের এবং ৯ আগস্ট ১৮ আগস্টের ট্রেনের অগ্রিম ফিরতি টিকিট দেয়া হবে।

রেল সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনে প্রতিদিন দুই লাখ ৭৭ হাজার মানুষ চলাচল করলেও ঈদের সময় তা বেড়ে প্রায় চার লাখে দাঁড়াবে। ঈদের ১০ দিন আগে এবং ঈদের পর ১০ দিন পর্যন্ত ট্রেনে ভিআইপিদের জন্য সেলুন সংযোজন করা হবে না। এছাড়া আগামী ১১ ও ১৪ আগস্ট ঢাকা-কলকাতা-ঢাকার মধ্যে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করবে না। ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত যাত্রী চাহিদা মেটানোর জন্য এক হাজার ৪৩৭টি যাত্রীবাহী কোচ সার্ভিস যুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

এএস/এমআরএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।