রোহিঙ্গা ইস্যুতে থাইল্যান্ডের সহায়তা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কূটনৈতিক প্রতিবেদক কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৩৯ পিএম, ০১ আগস্ট ২০১৯

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে থাইল্যান্ডের সহায়তা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।

বৃহস্পতিবার ব্যাংককে থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডন প্রামুদোনাইয়ের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ সহায়তা চান বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আসিয়ান রিজিওনাল ফোরামের সম্মেলনে যোগ দিতে আজই থাইল্যান্ড গেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ডা. মোমেন বলেন, ‘এ সমস্যা সমাধানে আসিয়ানের বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে থাইল্যান্ডের কাছে বাংলাদেশের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে।’

নিরাপদে রোহিঙ্গাদের দ্রুত নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে থাই সরকারের সহায়তা চান তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে এ বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার উপস্থিতিতে নেতিবাচক প্রভাব এবং পুরো অঞ্চলের সম্ভাব্য সুরক্ষা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ সমস্যা সমাধানে কাজ চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল থাইল্যান্ড।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, দুই মন্ত্রী নিজ দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়েও আলোচনা করেন।

rohingya-2

বৈঠকে ড. মোমেন উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ সরকার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়। উভয় মন্ত্রী বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিয়ে কথা বলেন। থাইল্যান্ডের এশিয়ান ইনস্টিটিউটে বঙ্গবন্ধু চেয়ার পিএইচডি ফেলোশিপ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে সমর্থন করার জন্য তিনি থাই সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং এ ব্যবস্থার সর্বোত্তম ব্যবহার করার জন্য জোর দেন।

ড. মোমেন বাংলাদেশে বিশেষত কৃষিনির্ভর শিল্পে বিনিয়োগের জন্য থাইল্যান্ডের সমর্থন চান। উভয় পক্ষের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আরও যোগাযোগের প্রচার ও সুবিধার্থে সম্মত হন দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

আগামীকাল শুক্রবার (২ আগস্ট) অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি তুলে ধরে আসিয়ানের সদস্য দেশগুলোর সহায়তা চাইবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন। আগামী ৩ আগস্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা ফেরার কথা রয়েছে।

জেপি/এনডিএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।