স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফরে সংসদীয় কমিটির ক্ষোভ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৩৪ পিএম, ৩১ জুলাই ২০১৯

ভয়াবহ ডেঙ্গু জ্বরের কবলে বাংলাদেশে। এর মধ্যে অনেক অমূল্য প্রাণ ঝড়ে গেছে। কিন্তু এ পরিস্থিতির তোয়াক্কা না করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বিদেশ সফরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। কমিটির সভাপতি মো. আলী আশরাফের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মো. দবিরুল ইসলাম, মো. মুজিবুল হক, মইনউদ্দীন খান বাদল, আব্দুল মান্নান, ফখরুল ইমাম এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা অংশ নেন।

বৈঠক সূত্র জানায়, কমিটির সভাপতি আলী আশরাফসহ একজন সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফর নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অবহেলা রয়েছে— এমন অভিযোগ করে বৈঠকে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। তবে বৈঠকে অংশ নেয়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো জবাব দেয়া হয়নি।

সূত্র জানায়, বৈঠকে কমিটির সভাপতি আলী আশরাফ ও বাংলাদেশ জাসদ কার্যকরী সভাপতি মইনউদ্দীন খান বাদল সারাদেশে ডেঙ্গুর ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফর নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন। তারা জানতে চান, এ সময়ে মন্ত্রী কেন বিদেশ সফরে গেলেন?

বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য ফখরুল ইমাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৈঠকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কমিটির দু’জন সদস্য বলেছেন, এ মুহূর্তে মন্ত্রী বিদেশে থাকলে কীভাবে হবে। তবে মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে চুপ ছিল। অবশ্য ডেঙ্গু নিয়ে তারা একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে। তবে তাতে আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট হইনি। কমিটি তদারকি বাড়ানোর সুপারিশ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গুর পাশাপাশি চিকিৎসা সেবার মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। দেখা যায়, একটি সরকারি হাসপাতাল কোথাও স্থাপন করা হলে তার কাছাকাছি একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল গড়ে ওঠে। চিকিৎসকদের বেলা ১টার পর আর হাসপাতালে পাওয়া যায় না। এ জন্য আমরা সরকারি হাসপাতালগুলোতে সারপ্রাইজ ভিজিটে যাওয়ার কথা বলেছি।’

এইচএস/এনডিএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।