পাস্তুরিত দুধ নিয়ে কারসাজি আছে কি না দেখা উচিত : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:১৮ পিএম, ৩০ জুলাই ২০১৯
ফাইল ছবি

পাস্তুরিত দুধের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টিতে দেশের দুধ আমদানিকারকদের কোনো কারসাজি আছে কি না -সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির এক বিশেষ সভায় লন্ডন থেকে ফোনে সংযুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সারাদেশে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘পরিষ্কার রাখি চারপাশের পরিবেশ, পরিচ্ছন্ন সমাজ-ডেঙ্গুমুক্ত বাংলাদেশ’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। ৩১ জুলাই, ২ ও ৩ আগস্ট বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সারাদেশে একযোগে এ পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পালন করা হবে। কর্মসূচির প্রস্তুতি হিসেবে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হঠাৎ কথা নেই বার্তা নেই, একজন দুধ পরীক্ষা করে বলে দিলেন দুধ ব্যবহারযোগ্য নয়। এবং সঙ্গে সঙ্গে রিট করা হয়। সেখানে বলে দেওয়া হয়, পাঁচ সপ্তাহ দুধ ব্যবহার করা যাবে না বা খাওয়ানো যাবে না। আমাদের যে দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি, সাধারণ মানুষের যে বেঁচে থাকার পথগুলো সৃষ্টি করা -সেগুলো কেন বাধাগ্রস্ত করা হয়? এটাই আমার প্রশ্ন।’

তিনি বলেন, এখানে আমার মনে হচ্ছে যে, আমদানিকারক যারা তাদের কোনো কারসাজি আছে কি না -সেটা আমাদের দেখা উচিত। বা তারা কোনোভাবে উৎসাহিত করছে কি না।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেন তাদের এ বিষয়ে ভাবা উচিত, দেখা উচিত। হঠাৎ একটা গুজব ছড়িয়ে রফতানিকে বাধাগ্রস্ত করা বা দেশের উৎপাদিত পণ্যের মান সম্পর্কে কথা বলা -এতে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। কাজেই যারা গুজব ছড়াবে বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করবে তাদের ওপর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমি ঠিক জানি না, হঠাৎ একজন প্রফেসর সাহেব, তার পরীক্ষার মধ্য দিয়ে একটা কথা ছড়িয়ে দিয়ে রিট করা বা একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া.. এর প্রকৃত ফলাফলটা কী হবে সেটা হয়তো কেউ চিন্তা করে না। দুধ বিক্রি করে অনেকে জীবিকা নির্বাহ করে। আবার গরুর দুধ বিক্রি করে সেই গরুর খাবারও জোগাড় করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, যারা খামার করেছে বা গরু পালন করছে, তাদের কাছ থেকে দুধ কেনা হচ্ছে। এ মানুষগুলোর কাছে দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য গরু কিনে দিয়েছি। তারা যদি দুধ বিক্রি করতে না পারে, অর্থ জোগাড় করতে না পারে, তাহলে গরুকে কী খাবার দেবে আর নিজে কীভাবে খাবার কিনে খাবে। এ বাস্তবতাটা চিন্তা করা দরকার।

বিদেশ থেকে যেসব দুধ আসে সেগুলো পরীক্ষা করা হয়েছে কি না জানতে চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যিনি দেশের দুধ পরীক্ষা করেছেন তিনি বিদেশ থেকে আমদানি করা গুঁড়া দুধ পরীক্ষা করেছেন কি না? আমার মনে হয়, তিনি এটা কখনো করেননি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি অনুরোধ করব, তিনি যেন বিদেশ থেকে আমদানি করা গুঁড়া দুধও পরীক্ষা করে দেখেন। আমরা আমদানিনির্ভর থাকতে চাই না, স্বনির্ভর থাকতে চাই। আমরা দেশের চাহিদা দেশের উৎপাদিত পণ্য দ্বারা মেটাতে চাই।’

আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে খাদ্যপণ্যের পরীক্ষার জন্য বিএসটিআইকে উন্নত ও আধুনিক করা হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

এইউএ/আরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।