ক্রিসেন্ট-লুবানা-আরএমসি হাসপাতালকে ৪২ লাখ টাকা জরিমানা
ডেঙ্গু রোগীর কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহের পর কোনো ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই রিপোর্ট দেয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে রাজধানীর উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালকে ১৭ লাখ এবং লুবানা জেনারেল হাসপাতালকে ২০ লাখ ও আরএমসি হাসপাতালকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। সারওয়ার আলম বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মানা হচ্ছে কি না তাই পরিদর্শনে এসেছিলাম। কিন্তু এখানে কেঁচো খুঁড়তে এসে সাপ বের হবার মতো ঘটনা দেখলাম।
তিনি আরও বলেন, উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালের ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রোগীদের কাছ থেকে সংগৃহীত নমুনা কোনো ধরনের পরীক্ষা না করেই তৈরি করা হয়েছে অসংখ্য রিপোর্ট। আবার কোনো পরীক্ষার জন্য ৭২ কিংবা ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগলেও নমুনা সংগ্রহের ১২ ঘণ্টা পরেই তৈরি করা রিপোর্ট রোগীদের সরবরাহ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। মেয়াদোর্ত্তীর্ণ রি-এজেন্ট ব্যবহার, অনুমোদনহীন ওষুধ রাখাসহ বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়া যায় অভিযানে। এসব কারণে হাসপাতালটিকে ১৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
সারওয়ার আলম বলেন, অন্যদিকে লুবানা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ওষুধের দাম রাখা হচ্ছে ১০-২৫ গুণ। যে ওষুধের দাম মাত্র ৪ টাকা তা রাখা হচ্ছে ১০০ টাকা। মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট ব্যবহার পরীক্ষা-নিরীক্ষা, রক্ত পরীক্ষায় যে সব অপশন বাধ্যতামূলকভাবে পরীক্ষার নিয়ম রয়েছে তা না করে মনগড়া রিপোর্ট তৈরির প্রমাণ মিলেছে।
এসব কারণে লুবানা জেনারেল হাসপাতালকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া একই অভিযোগে আরএমসি হাসপাতালকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
জেইউ/জেএইচ/এআর/এমআরএম