খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:০৮ পিএম, ২৯ জুলাই ২০১৯

বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষকদের জাতীয়করণের দাবি বাস্তবায়নের কোনো আশ্বাস না পেয়ে আশাহত হয়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন তারা। গত ৪৪ দিন ধরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন শতাধিক শিক্ষক। তাদের অনেকে বাড়ি চলে যাওয়ায় এ কর্মসূচি প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে।

আন্দোলনকারী শিক্ষকরা জানান, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব বিপ্লব বড়ুয়া সোমবার তাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে অনশন ভাঙাতে প্রেস ক্লাবের সামনে আসার কথা ছিল। কিন্তু তিনি আসেননি। এ ঘটনায় আরও হতাশ হয়ে পড়েন তারা। এ কারণে অনেকে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। যদিও কেউ কেউ এখনও প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মো. কামাল হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব আন্দোলনকারী শিক্ষকদের মাঝে এসে দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি আসেননি। দীর্ঘদিন রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে দাবি পূরণের কোনো সম্ভাবনা না দেখে অনেক শিক্ষক চলে যাচ্ছেন। এ কারণে আর জোরালে আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, আন্দোলন আরও জোরালোর চেষ্টা চলছে। বিভিন্ন জেলা থেকে শিক্ষকদের ঢাকায় আসার অনুরোধ করা হয়েছে। আশা করি আবারও প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবি জোরালো হবে।

কামাল হোসেন বলেন, চলমান আন্দোলনে তাদের ২৬৪ শিক্ষক অসুস্থ এবং ১৫ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন; একজন মারাও গেছেন। তবুও সরকারের মন গলেনি!

সাংগঠনিক সম্পাদক আ স ম জাফর ইকবাল বলেন, জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে জাতীয়করণে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে আমরা গত ৪৩ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। খোলা আকাশের নিচে রাস্তায় দিন-রাত কাটাচ্ছি। বৃষ্টি এলে ভিজে যাচ্ছি, সেই ভেজা কাপড়েই থাকতে হচ্ছে। তার ওপরে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব। এতে আমাদের অনেকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। একজন শিক্ষক মারাও গেছেন। এত কিছুর পরও সরকারের মন না গলা দুঃখজনক।

এমএইচএম/এমএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।