সব কিছু্ই আছে, শুধু অতিথিরা নেই
রোববার দিনব্যাপি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আয়োজন করা হয়েছিল ঢাকার মগবাজারস্থ ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল লিমিটেডের পরিচিতি ও মতবিনিময় অনুষ্ঠান। এজন্য সব প্রস্তুতি আগে থেকেই সম্পন্ন করে রাখা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রধান অতিথি ও হাসপাতালটির চেয়ারম্যান ডা. সিরাজুল ইসলামসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দরা ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশ্যে রওনাও হয়েছিলেন। কিন্তু নিয়তি তাদের অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছাতে দেয়নি।
সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নরসিংদীর মাধবদীতে মর্মান্তির এক সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে ডা. সিরাজুল ইসলাম (৫৮) ও তার বেয়াই আবদুল খালেক (৬০) এবং গাড়িচালক অন্তু (৩০) মারা যান। দুপুরের কিছু সময় আগে তাদের মৃত্যুর সংবাদটি যখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের ফুলবাড়িয়া কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানস্থলে এসে পৌঁছায় তখন হাসপাতালটির সঙ্গে জড়িত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। অতিথিদের মৃত্যুর সংবাদে মঞ্চে রাখা অতিথিবৃন্দের ফাঁকা আসনগুলোও যেন কেঁদে উঠলো আর মঞ্চে সাজানো ফুলগুলো হারিয়ে ফেলে সজীবতা।
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ অনুষ্ঠান চলার কথা থাকলেও একটি দুর্ঘটনার সংবাদ সবকিছুই উলট-পালট করে দিলো। পরিচিতি সভা আর মতবিনিময় অনুষ্ঠানের বদলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে করা হয় বিশেষ দোয়া। এছাড়া অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দের জন্য রান্না করা খাবার পাঠানো হয় মাদ্রাসা ও এতিমখানায়। তবে অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিতদের মধ্যে যারা চলে এসেছিলেন তাদেরকে কয়েকটি টেবিলে বসিয়ে দুপুরের খাবার খাওয়ানো হয়।
ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল লিমিটেডের ডোর টু ডোর মার্কেটিংয়ের প্রকল্প পরিচালক রিয়াজুল মাহমুদ জাগো নিউজকে জানান, চিকিৎসক-সাংবাদিক ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় সাড়ে ৬শ’ মানুষকে নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল। কিন্তু স্যারের (ডা. সিরাজুল ইসলাম) মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়। রান্না করা খাবার মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দিয়ে দেয়া হয়।
## সড়ক দুর্ঘটনায় সিরাজ মেডিকেলের চেয়ারম্যানসহ নিহত ৩
আজিজুল আলম সঞ্চয়/বিএ