চমেকেও ডেঙ্গু সেল
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ১১:১৫ এএম, ২৮ জুলাই ২০১৯
রাজধানী ঢাকার পর বন্দরনগরীতেও ডেঙ্গু আশঙ্কাজনক হারে ছড়িয়ে পড়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আজ রোববার (২৮ জুলাই) থেকে চালু হচ্ছে বিশেষ চিকিৎসাসেবা সেল। এছাড়া জেলার ১৪টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেগুলোতে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য খোলা হচ্ছে ডেঙ্গু কর্নার।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আখতারুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রামসহ আশপাশের জেলাগুলোতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। যার অধিকাংশ রোগী চমেকই আসছে চিকিৎসা নিতে। হঠাৎ করে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আলাদা চিকিৎসা সেল গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এখানে চিকিৎসকদের একটি বিশেষ টিম সার্বক্ষণিক রোগীদের সেবা প্রদানে কাজ করবে। তারা একটি নিয়ম অনুসারে রোগীকে চিকিৎসা প্রদান করবে।
চমেক হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, সরকারি এ হাসপাতালে চলতি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন ২৬ জন রোগী। এর মধ্যে ১০ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও বাকি ১৬ জন এখনও হাসপাতালের ১৩, ১৪ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরসহ ডেঙ্গুর প্রকোপ ছড়িয়ে পড়া ১০ জেলার সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু কর্নার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ওয়ান স্টপ সার্ভিসের আওতায় ডেঙ্গু পরীক্ষা ( টেস্ট) থেকে শুরু করে এই রোগের সার্বিক চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাবে এসব কর্নারে।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী জানান, গতকাল নগরীতে আরও ৬ ব্যক্তি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫ জন ও বেসরকারি ক্লিনিক সিএসসিআরে একজন। এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৫৪ ব্যক্তি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত।
সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী জাগো নিউজকে বলেন, জেলার হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু কর্নার চালু করা হবে। এসব কর্নারে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য রি-এজেন্ট বা কিটস স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে সরবরাহ করা হতে পারে। এছাড়া ১৪টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা করাবে সিভিল সার্জন কার্যালয়। এজন্য ঢাকা থেকে রক্ত পরীক্ষার কিট, রি-এজেন্টসহ চিকিৎসা সামগ্রী আনা হচ্ছে। আজ এসব চিকিৎসা সামগ্রী চট্টগ্রামে আসবে। আগামীকাল সোমবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে সামগ্রী বিতরণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বিভাগে একমাত্র ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ- (বিআইটিআইডি) হাসপাতাল ছাড়া বাকি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু টেস্ট (পরীক্ষা) করার সুযোগ নেই। এ কারণে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে হাজার হাজার টাকা খরচ করে রোগী ও তাদের স্বজনরা।
আবু আজাদ/জেএইচ/এমএস