রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সম্ভাব্য সব সহযোগিতা দেবে চীন

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৩৭ পিএম, ২৪ জুলাই ২০১৯

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিজ বাসভূমিতে দেশটির সামরিক বাহিনীর চরম নৃশংসতার শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার নাগরিকদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে চীন সম্ভাব্য সব সহযোগিতা দেবে।

বাংলাদেশে চীনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত জাং জুও বুধবার বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদিন চীনের রাষ্ট্রদূতকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘আমি নিজে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছি। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দুর্দশা আমি দেখেছি। চীন তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে।’

বাংলাদেশে সফলভাবে কার্যমেয়াদ সম্পন্ন করার জন্য রাষ্ট্রপতি চীনা রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক খুবই চমৎকার এবং এ সম্পর্ক ধাপে ধাপে সম্প্রসারিত হয়ে চলেছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক চীন সফর এবং এর আরও আগে চীনের প্রেসিডেন্ট লি জিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ সফর বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার সম্পর্ক জোরদার করেছে এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হয়েছে।’

বাংলাদেশের বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে চীন সরকারের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এখানে চীনের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় অনেক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে, যা জাতীয় উন্নয়নে বিরাট অবদান রাখছে।’

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীন সরকারের সহযোগিতার আশ্বাসের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি হামিদ আশা প্রকাশ করেন, ‘জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত এসব মিয়ানমার নাগরিক অবিলম্বে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণভাবে তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে সক্ষম হবে।’

জুও বাংলাদেশে অবস্থানকালে তার দায়িত্ব পালনে আন্তরিক সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রপতির সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামীম-উজ-জামান, রাষ্ট্রদূতের সহধর্মিণী ইয়াং ইয়ুয়ানচুন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও চীনা দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। খবর : বাসস

এনডিএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।