প্রিয়াকে গ্রেফতার নয়, প্রয়োজনে নিরাপত্তা দেবে সরকার
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বিতর্কিত বক্তব্য দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে প্রিয়া সাহা দেশে ফিরলে তাকে গ্রেফতার নয় বরং সরকার তাকে নিরাপত্তা দেবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বুধবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও মাল্টা সফর শেষে সকালে দেশে ফিরেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যালিস ওয়েলস আমাকে জিজ্ঞেস করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতে বক্তব্য দেয়ার জন্য প্রিয়া সাহাকে গ্রেফতার করা হবে কি না? তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে কিনা? আমি বলেছি, গ্রেফতার করব না। উনি উনার বক্তব্য দিয়েছেন। তবে বক্তব্য যেহেতু মিথ্যা এবং বানোয়াট এতে আমাদের দেশের অনেক লোকই অসন্তুষ্ট। তারা যদি কিছু করে তখন যদি উনি চান তাহলে তাকে নিরাপত্তা দেব। সরকার প্রত্যেক নাগরিককে নিরাপত্তা দেয়। আমি বলেছি, সরকার উনার বিরুদ্ধে মামলা করবে কেন, সেটা আগে বুঝতে হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তাছাড়া আমরা বলেছি মার্কিন সরকার যেহেতু ধর্মীয় সম্প্রীতি চাচ্ছে, সে জন্য তাদের প্রতি আমাদের অনুরোধ তাদের আয়োজকরা দায়িত্বশীল লোকদের আনলে এ ধরনের অবান্তর বিতর্ক সৃষ্টি হয় না।’
প্রিয়া সাহা কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করলেন- এমন প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সরকার আয়োজিত মন্ত্রী পর্যায়ের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলায় আমি। বাংলাদেশ সরকার থেকে চার সদস্যের প্রতিনিধি যোগ দেন। তবে প্রিয়া সাহা সেখানে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেননি।’
তিনি বলেন, ‘এ অনুষ্ঠানে বেসরকারিভাবে অনেকেই গেছেন। আমেরিকা তাদের নিয়ে গেছে। কতজন নিয়েছে আমরা জানি না। যুক্তরাষ্ট্রে যেতে সরকারের কোনো পারমিশন লাগে না। বাংলাদেশি নাগরিক যারা আমেরিকা যেতে চান নিশ্চিন্তে যেতে পারেন। শুধু আমেরিকার ভিসা লাগে।’
ড. মোমেন বলেন, ‘প্রিয়া সাহার এ বক্তব্য আমার নজরে আসার পরে ওয়াশিংটনে থাকতেই আমি বলেছি, এটা বানোয়াট মনগড়া।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে গত ১৭ জুলাই বাংলাদেশের নাগরিক প্রিয়া সাহা অভিযোগ করেন, বাংলাদেশ থেকে ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান উধাও হয়ে গেছে। তার ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, জমি কেড়ে নিয়েছে। মুসলিম উগ্রবাদীরা এটা করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
প্রিয়া সাহা যুক্তরাষ্ট্র সরকার আয়োজিত মন্ত্রী পর্যায়ের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেন। সে সময় ট্রাম্পের কাছে তিনি এ অভিযোগ করেন। তবে তার বক্তব্যের প্রতিবাদও জানিয়েছে বাংলাদেশ।
জেপি/এনডিএস/পিআর