কোচিংয়ে এসে হাসপাতালই হলো মেহেদির ঠিকানা
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবেন- এমন স্বপ্ন নিয়ে ঢাকার ফার্মগেটে একটি কোচিং সেন্টারে কোচিং করতে আসেন মুন্সিগঞ্জের মেহেদি হাসান। ভাগ্যের নিষ্ঠুর পরিহাস! পড়ালেখা ফেলে এখন মেহেদিকে সময় কাটাতে হচ্ছে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে।
রাজধানীতে ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়া ডেঙ্গুর কবলে পড়েছেন এ শিক্ষার্থী। চিকিৎসা নিতে তিনি ভর্তি হয়েছেন রাজধানীর গ্রিন রোডে অবস্থিত সেন্ট্রাল হাসপাতালে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেঝেতে পাতা একটি বেডে স্থান হয়েছে তার। বেডে শুয়েই মঙ্গলবার জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেন মেহেদি হাসান। হাতে স্যালাইন পুশ করা। খুবই বিষণ্ন দেখাচ্ছিল তাকে।
বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পাস করা মেহেদি বলেন, রোজার ঈদের পর ফার্মগেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কোচিং করতে আসি। ঢাকা থেকে গত বৃহস্পতিবার মুন্সিগঞ্জের গ্রামে বাড়ি যাই। বাড়ি যাওয়ার পরপরই অসুস্থবোধ করি। প্রচণ্ড চোখ ব্যথার সঙ্গে জ্বর আসতে থাকে। প্রেশার কমে যায়। এমন অবস্থায় মুন্সিগঞ্জে ডাক্তার দেখাই। এরপর ডেঙ্গু ধরা পড়ে।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু ধরা পড়ার পর গতকাল এ হাসপাতালে ভর্তি হই। শরীরে স্যালাইন চলছে। গায়ে ব্যথা রয়েছে। তবে আজ একটু ভালো অনুভব করছি। দোয়া করেন যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে আবার পড়ালেখায় মনোযোগ দিতে পারি।
মেহেদি হাসানের মতো ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৬৬ জন। এর মধ্যে মঙ্গলবারই নতুন ভর্তি হয়েছেন ১৬ ডেঙ্গু রোগী।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) উচ্চমান সহকারী আসিয়া খাতুন। গত শনিবার থেকে তিনি এখানে চিকিৎসাধীন।
আসিয়া খাতুন জাগো নিউজকে বলেন, গত শুক্রবার থেকে অসুস্থবোধ করি। প্রচণ্ড মাথা ব্যথার সঙ্গে বমি বমিভাব ছিল। অসুস্থ হয়ে পড়ায় শনিবার রামপুরার বাসার কাছে একটি হাসপাতালে ডেঙ্গুর পরীক্ষা করি। পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। শনিবারই এখানে এসে ভর্তি হই।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু হলে শরীর ও মাথায় প্রচণ্ড ব্যথা, সঙ্গে বমিও হয়। গত বছর আমার ছেলের ডেঙ্গু হয়েছিল। ছেলেকে নিয়ে অনেক ভুগেছি। তবে আমার খুব বেশি সমস্যা হয়নি। এখন বেশ ভালো অনুভব করছি। আশা করছি, শিগগিরই বাসায় ফিরতে পারব।
এমএএস/এসআর/আরএস/এমএআর/পিআর