অপহরণের পর ২ ছাত্রকে নদীতে ফেলে হত্যা


প্রকাশিত: ০৭:৩৬ এএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

হাত পা বেঁধে সাভারের ধলেশ্বরী নদীতে ফেলে দিয়ে দুই ছাত্রকে হত্যা করেছে একটি অপহরণকারী চক্র। ওই অপহরণকারী চক্রটিকে গ্রেফতার করার পর এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশ। অপহরণকারীদের দেয়া তথ্য মতে নদী থেকে ওই দুই ছাত্রের মরদেহ উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

রোববার সকাল ১০টা থেকে কেন্দ্রীয় ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল ধলেশ্বরী নদীর হেমায়েতপুর পয়েন্টের শহীদ রফিক সেতু এলাকায় এ অভিযান চালাচ্ছে। এর আগে গত শনিবার সাভারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহরণকারী চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ।

সাভার মডেল থানা পুলিশ জানায়, গত ২৫ আগস্ট সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে পড়ুয়া মুনসের আলী নামের এক ছাত্রকে তার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যান অপহরণকারী চক্রটির নেতা বাদশা মিয়া। মুনসের আলী পড়ালেখার পাশাপাশি রঙয়ের কাজ করতেন। রঙয়ের কাজ করানোর কথা বলেই তাকে বাসা থেকে ডেকে নেন বাদশা। পরে তার বড় ভাইয়ের কাছে মুক্তিপণ দাবি করেন বাদশা ও তার সহযোগীরা।  মুক্তিপণ না পাওয়ায় কিছু সময়ের মধ্যে ধলেশ্বরী নদীর হেমায়েতপুর এলাকার শহীদ রফিক সেতুর নিচে মুনসেরকে ডুবিয়ে হত্যা করে বাদশা ও তার সহযোগীরা। মরদেহ যেন ভেসে না ওঠে সেজন্য ইট ও কংক্রিট বেঁধে মুনসেরকে নদীতে ফেলে দেয়ার কথা জানান তিনি।

গত ১০ সেপ্টেম্বর আরো এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করেন বাদশা ও তার সহযোগীরা। সাভারে চাকরি দেয়ার কথা বলে মানিকগঞ্জের খাঁন বাহাদুর আওলাদ হোসেন কলেজের শিক্ষার্থী মনির হোসেনকে সাভারে নিয়ে আসেন বাদশা। পরে তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করেন বাদশা ও তার সহযোগীরা। মুক্তিপণ না পাওয়ায় সেদিনেই মনিরকে ধলেশ্বরী নদীতে ফেলে হত্যা করেন তারা। অপহরণকারী বাদশা ও শিক্ষার্থী মনিরের বাড়ি মানিকগঞ্জের একই স্থানে। মনিরের বাবা কুয়েতপ্রবাসী।

এ দুই ঘটনায় সাভার মডেল থানা ও মানিকগঞ্জ সদর থানায় পৃথক দুটি জিডি করে নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবার।

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল আজীম জাগো নিউজকে জানান, প্রথম অপহরণের ঘটনাটি তদন্তে সাভার মডেল থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নেন। এরইমধ্যে দ্বিতীয় অপহরণের ঘটনাটি ঘটে। দুটি অপহরণের ঘটনায় একই নাম্বার থেকে মুক্তিপন দাবি করা হলে পুলিশ নিশ্চিত হয় একই চক্রটি দুটি ঘটনার সঙ্গে জড়িত। কল রেকর্ড পর্যালোচনা করে অপহরণকারীদের চিহ্নিত করা হয়। এরপর ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বাদশা ও তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়।

বাদশার সহযোগীরা হলেন, আক্তারুজ্জামান, শুক্কুর আলী, মনোয়ার হোসেন, আজগর আলী ও লাল মিয়া।

আল-মামুন/এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।