প্রিয়া সাহার অভিযোগ অবাস্তব ও বানোয়াট : সম্প্রীতি বাংলাদেশ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহার করা অভিযোগের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই বলে দাবি করেছে সম্প্রীতি বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন। রোববার (২১ জুলাই) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, ‘৩৭ মিলিয়ন হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী মানুষ নিখোঁজ হয়েছে, যা অবাস্তব ও বানোয়াট বলে ধরে নেওয়া যায়। বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে এমন কোনো তথ্য বা পরিসংখ্যান নেই।’
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। সেখানে ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান উধাও হয়ে গেছে। এখনও সেখানে ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু জনগণ রয়েছে। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশ ত্যাগ করতে চাই না।’
প্রিয়া সাহা আরও বলেন, ‘আমি আমার ঘর হারিয়েছি। আমার জমি নিয়ে নিয়েছে। আমার ঘরবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সেসবের কোনো বিচার নেই। উগ্রবাদী মুসলিমরা এ কাজ করছে। সবসময় তারা রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে এ কাজ করে।’
প্রিয়া সাহার এমন অভিযোগের বিষয়ে পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ প্রিয়া সাহার এ নির্লজ্জ মিথ্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। তিনি কাদের প্ররোচণায়, কোন উদ্দেশ্যে এমন মিথ্যাচার করেছেন, সে বিষয়ে একটি সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’
ঘটনাটি বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয় উল্লেখ করে পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সুষ্ঠু তদন্তে অবশ্যই থলের আসল বেড়ালদের চেহারা বেরিয়ে আসবে। তবে প্রিয়া সাহাকে শিখণ্ডী বানিয়ে কোনো দুষ্টুচক্র বা স্বার্থন্বেষী মহল ঘোলা পানিতে যেন মাছ শিকার করতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ ও সংঘবদ্ধ থাকতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, শেখ হাসিনাই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের শেষ আস্থা। শেখ হাসিনা ও তার সরকার সব সাম্প্রদায়িক শক্তিকে কঠোর হাতে দমন করে প্রমাণ করেছে ধর্ম যার যার, বাংলাদেশ সবার।’
পিডি/আরএস/পিআর