বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে বায়োটেকনোলজি নিয়ে কাজ করবে ওরিক্স
বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে বায়োটেকনোলজি নিয়ে কাজ করবে ওরিক্স বায়োটেক লিমিটেড। এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটিকে ব্লক-২ এ ২৫ একর জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে তারা ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে।
রোবাবার (২১ জুলাই) বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে এ বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, উন্নত বিশ্বে এখন (বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, চীন, জাপান) বায়োটেকনোলজির ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। এইচআইভি এবং ক্যান্সারের চিকিৎসায় বায়োটেক ওষুধ এখন ব্যবহার হচ্ছে। এছাড়া সার্স, ইনফ্লুয়েঞ্জা, পা ও মুখের বিভিন্ন সংক্রমণসহ ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ প্রতিরোধে এর ব্যবহার হচ্ছে। উচ্চতর প্রযুক্তির এ বায়োপ্রোডাক্ট তথা জৈব পণ্য উৎপাদন একটি জটিল প্রক্রিয়া।
ওরিক্স বায়োটেক লিমিটেড বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে বছরে ১২০০ টন প্লাজমা বিশ্লেষণে সক্ষম প্ল্যান্ট নির্মাণ করতে চায়; যার সঙ্গে ২০টি প্লাজমা সংগ্রহ স্টেশন সংযুক্ত থাকবে। প্রতিষ্ঠানটি এ ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ অন্য উন্নত বিশ্বের মান বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের বাজারে বায়োটেক পণ্য সহজলভ্য হবে বলে ওরিক্স বায়োটেক লিমিটেডের উপস্থাপনায় বলা হয়। প্রতিষ্ঠানটি এ ক্ষেত্রে চীনের বৃহত্তম বায়োটেক প্রতিষ্ঠান সিনো ফার্মের (Sino Pharm) কাছ থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা নেবে।
এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ ৩০০ মিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক বিনিয়োগ, প্রায় ২ হাজার জনের উচ্চ বেতনে কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ বায়ো প্রযুক্তিতে অনেক দূর এগিয়ে যাবে, যা ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে ব্যাপক অবদান রাখবে বলে উপস্থাপনায় বলা হয়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ সময় প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্ভাব্য সময় এবং পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি ওরিক্স বায়োটেক লিমিটেডকে দ্রুত কাজ শুরুর তাগিদ এবং যে কোনো প্রয়োজনে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন তিনি।
এরপর সামিট টেকনোপলিশ লিমিটেড ও নেটওয়ার্ল্ড হোল্ডিংস লিমিটেডের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এর আওতায় কোম্পানিটি দুই একর জায়গায় এমআইসিআর চেক বুক উৎপাদন, ক্লাউড সার্ভিস এবং বিভিন্ন সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করবে। প্রতিষ্ঠানটি সেখানে প্রাথমিকভাবে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ এবং ৫০ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
বাংলাদেশ হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম সভায় সভাপতিত্ব করেন। সামিট টেকনোপলিশ লিমিটেড ও বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এএস/এএইচ/জেআইএম