প্রিয়া সাহাকে আইনের আওতায় আনার দাবি ১৪ দলের
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৩৯ পিএম, ২০ জুলাই ২০১৯
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্ট্রান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা মিথ্যাচার করেছেন জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করার পাশাপাশি কার প্ররোচণায়, কোন মহলের মদদে এই নারী মিথ্যাচার করেছেন তা বাহির করা উচিত।‘
এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান। শনিবার ১৪ দলের পক্ষ থেকে দেয়া বিবৃতিতে তিনি এসব বলেন। প্রিয়া সাহার মিথ্যাচারের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে নাসিম বলেন, ‘আমি মনে করি বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক বিনষ্ট এবং নির্বাচিত সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে অশুভ মহল এই নারীকে দিয়ে কাজটি করিয়েছেন।’
‘তার বিরুদ্ধে দ্রুত রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করে আইনের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে ওই নারী কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কাছে গিয়ে মিথ্যাচারের সুযোগ পেল সেটি বের করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববাসী জানে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সব ধর্মের মানুষ এখানে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস এবং ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারছেন। যেটি বিশ্বে একটি বিরল দৃষ্টান্ত।’ তাৎক্ষণিক বক্তব্য দিয়ে বিষয়টির প্রতিবাদ জানানোর কারণে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলারকে ধন্যবাদ জানান মোহাম্মদ নাসিম।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার ২৭ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ১৬ দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহাও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান।
বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতা প্রিয়া সাহা মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান নিখোঁজ রয়েছেন। দয়া করে আমাদের লোকজনকে সহায়তা করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন সেখানে ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু রয়েছে। আমরা আমাদের বাড়িঘর খুইয়েছি। তারা আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, তারা আমাদের ভূমি দখল করে নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বিচার পাইনি।’
এইউএ/এমআরএম/এমএস