ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় আছি বলে উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান : প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:৫৪ পিএম, ১৮ জুলাই ২০১৯

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় আছি বলে দেশের উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান হচ্ছে। মানুষ আজ উন্নয়নের ছোঁয়া উপলব্ধি করতে পারছে। অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের এ উন্নয়নের ভাগিদার আপনারাও। কারণ মাঠ প্রশাসনে আপনারা কাজ করেছেন। দেশের উন্নয়নে আরো নতুন নতুন উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা করার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।

আজ (বৃহস্পতিবার) রাতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের ‘বার্ষিক সম্মিলন ২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব শেখ ইউসুফ হারুন। এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বক্তব্য রাখেন।

প্রধানমন্ত্রী অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা দুর্নীতি, মাদক ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখবো। যিনি ঘুষ নেবেন শুধু তিনি নন, যিনি দেবেন তিনিও দোষী হবেন। দুর্নীতিকে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। মাদকের বিরুদ্ধেও কঠোর অবস্থানে থাকবেন। যারা এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন।

তিনি বলেন, আমাদের সম্পদ সীমিত। এই সীমিত সম্পদ দিয়েই আমরা ভালোভাবে দেশ পরিচালনা করছি। এবার ইতিহাসের স্মরণকালের বাজেট দিয়েছি। অনেক দিন আগে থেকেই ভাবতাম ৫ লাখ কোটি টাকার বাজেট কবে দিতে পারবো। তাছাড়া আরো ভাবতাম প্রবৃদ্ধি কবে ৮ ভাগ হবে। এবার সে আশা পূরণ হয়েছে। বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছর শাসনামলে প্রবৃদ্ধি ৭ ভাগে নিয়ে গিয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা এ দেশের মানুষের সমৃদ্ধ জীবন চেয়েছিলেন। কিন্তু সে আশা তিনি পূরণ করতে পারেননি। আমরা তার সেই আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের লক্ষ্যে কাজ করছি।

প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যদের তিনি বলেন, দেশের আরো উন্নয়নের জন্য কীভাবে কী করা যায় সে বিষয়ে আপনারা চিন্তা করবেন। আপনাদের বেতন বাড়িয়েছি, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করেছি। তিন বছর পরপর বেতনসহ বিনোদন ছুটি দিচ্ছি। এসবের বিনিময়ে আমরা চাই দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। এ জন্য আপনারা কাজ করবেন। একদিন যারা এ দেশকে বটমলেস বাসকেট বলেছিল তাদের দেশে যে দারিদ্র্যের হার তার চাইতে কম হলেও আমাদের দেশে এক ভাগ কমাতে চাই।

এফএইচএস/এসএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।