বন্যা দুর্গত এলাকায় চিকিৎসকদের ছুটি বাতিল
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১১:৫৪ এএম, ১৮ জুলাই ২০১৯
বন্যা কবলিত এলাকার স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকল পর্যায়ের চিকিৎসক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
১৬ জুলাই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় বলা হয়, দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যার কারণে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে। ছুটি বাতিলের ব্যাপারে ১৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা: শহীদ মো: সাদিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক জরুরী বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
বন্যা কবলিত এলাকা চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য কতিপয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়। নির্দেশনাবলী হলো- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের শহীদ সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে হবে। বন্যা কবলিত এলাকার স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়, সিভিল সার্জন কার্যালয় ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম খুলতে হবে। বন্যা কবলিত এলাকায় দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলায় কমিউনিটি ক্লিনিকসমূহকে একযোগে কাজ করতে হবে।
প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জামাদিসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক মেডিকেল টিম গঠন করে সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত রাখতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনের সাথে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ কর্তৃক গঠিত কন্ট্রোল রুমের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ও সমন্বয় করে দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হবে। বন্যা কবলিত এলাকার প্রতিটি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, অন্যান্য ওষুধ সামগ্রী মজুদ রাখতে হবে এবং প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক সরবরাহ করতে হবে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক অ্যাম্বুলেন্স (প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জামাদিসহ) প্রস্তুত রাখতে হবে। বন্যা কবলিত এলাকায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রয়োজনে জেলা সদরে অথবা ঢাকায় প্রেরণের ব্যবস্থা করতে হবে। বন্যা কবলিত এলাকায় মাইকিং করে স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক সতর্ক বার্তা প্রচার ও সাপে কাটা রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হবে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশের লালমনিরহাট, নেত্রকোনা, নীলফামারী ,চট্টগ্রাম, সুনামগঞ্জ, কক্সবাজার ,কুড়িগ্রাম ,জামালপুর ও গাইবান্ধাসহ মোট ৯টি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে।
এমইউ/এনএফ/জেআইএম