সাঁতারকূলে ৭ কারখানা বন্ধ করে দিল পরিবেশ অধিদফতর

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১০:৪৯ পিএম, ১৭ জুলাই ২০১৯

রাজধানীর উত্তর বাড্ডার সাঁতারকূল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয়টি ওয়াশিং কারখানা ও একটি প্লাস্টিক কারখানার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর। বুধবার অধিদফতরের ঢাকার মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট পরিচালক রুবিনা ফেরদৌসীর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

কারখানাগুলো হলো- আশরাফ ওয়াশিং প্লান্ট, প্রাইম ওয়াশিং প্লান্ট, মায়ের দোয়া ওয়াশিং প্লান্ট, স্টার ওয়াশিং (দি শাহীন ডিজাইন), সুমনের ওয়াশিং প্লান্ট, শাইনিং ওয়াশিং প্লান্ট এবং তেজো প্লাস্টিক কারখানা।

পরিবেশ অধিদফতর জানায়, দীর্ঘদিন ধরে সাঁতারকূল এলাকায় বিভিন্ন ধরনের ওয়াশিং কারখানা পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া ও বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) নির্মাণ না করে অপরিশোধিত তরল বর্জ্য খালে ফেলে পরিবেশ দূষণ করছে।

এসব কারখানা কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার পরিবেশ দূষণের দায়ে ক্ষতিপূরণ ধার্য করে সতর্ক করে ইটিপি নির্মাণ করে দূষণ নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ প্রদান করা হয়। তা সত্ত্বেও কারখানা কর্তৃপক্ষ ইটিপি কার্যকর না করে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ ছাড়াই কারখানা পরিচালনা করতে থাকে এবং দূষণ অব্যাহত রাখে।

ফলশ্রুতিতে পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. এ কে এম রফিক আহাম্মদের নির্দেশনায় মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট টিম ঢাকা মহানগরের বাড্ডা সাঁতারকুল এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে কয়েকটি কারখানা সিলগালা করে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।

পরিবেশগত ক্ষতিসাধনের জন্য কারখানা মালিকদের আগামী ২১ জুলাই পরিবেশ অধিদফতর, সদর দফতর, ঢাকার মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইংয়ে শুনানির জন্য হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।

রুবিনা ফেরদেীসী জানান, পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন, ইটিপিবিহীন, পরিবেশ দূষণকারী শিল্পকারখানার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন- পরিবেশ অধিদফতরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাকছুদুল ইসলাম ও আসিফ শরীফ রহমান, উপপরিচালক, ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী পরিচালক সালমান চৌধুরী শাওন, পরিদর্শক মো. মির্জা আসাদুল কিবরীয়া ও ঢাকা মহানগর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোসাদ্দেক হোসেন রাজিব।

এমইউ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।