২৫-৩১ জুলাই সারাদেশে মশক নিধন সপ্তাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:২১ পিএম, ১৭ জুলাই ২০১৯

ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় আগামী ২৫ থেকে ৩১ জুলাই সারাদেশে মশক নিধন সপ্তাহ পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সচিবালয়ে বুধবার (১৭ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান মন্ত্রী।

ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে এবং ভেজাল ওষুধ নিয়ে কি নির্দেশনা দেয়া হলো ডিসিদের-এমন প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ডিসিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে আগামী ২৫ থেকে ৩১ তারিখ সারাদেশে মশক নিধন সপ্তাহ পালন করা হবে। এ ছাড়া মশার ওষুধ নিয়ে পরীক্ষা চলছে। আমি ইচ্ছা করলে এমন কোনো ওষুধ পরিবেশে দিতে পারি না যেটা মশা মারতে গিয়ে মানুষের ক্ষতি হয়। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে আমাদের ওষুধের অনুমতি নিতে হয়। তারা যেটার অনুমোদন দেয় আমরা সেটা ব্যবহার করি।’

এ ছাড়া ওষুধ ভেজাল রোধে গতকাল দুই সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন যে ওষুধ ব্যবহার করছে তার মানে কোনো ত্রুটি আছে কি না- তা আবার পরীক্ষা-নিরীক্ষার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা প্রশাসকদের বলা হয়েছে পৌরসভা ও স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালীসহ কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে তাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এজন্য তাদের আয় বাড়াতে হবে। তারপর তারা ব্যয় করবে। এ উদ্দেশ্যেই পৌরসভা গঠন করা হয়েছে। এখন যারা এ কাজ করতে পারবে না বা ব্যয় নির্বাহ করতে পারবে না তারা ঢাকায় এসে আন্দোলন করবেন-এটা সুস্থ ব্যবস্থাপনা না।’

পৌরসভাকর্মীরা আন্দোলন করছেন তাদের নিয়ে কি কোনো আলোচনা হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশ পরিচালনায় যে ব্যবস্থাপনা আছে তা বিবেচনায় নিয়ে তাদের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে। যদি সরকারের পক্ষ থেকে সাহায্য করার সুযোগ থাকে তাহলে সাহায্য করা হবে। তারা আমার কাছে এসেছিলেন। তাদের কথা শুনেছি এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যা করা দরকার করব। যদি আপদকালীন সহযোগিতা করতে হয় আমরা করব।’

ডিসিদের কি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের ওপর যে দায়িত্ব দেয়া আছে তা সঠিকভাবে পালন করার জন্য সেতুবন্ধন সৃষ্টি করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত সবাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের। সে জন্য আমরা দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেছি। তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, ইউনিয়ন পরিষদকে শক্তিশালী করা এবং তাদের বরাদ্দ যাতে সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয় তা গুরুত্বের সঙ্গে দেখাশোনা করা।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এ ছাড়া রাস্তাঘাটের মান বাড়ানোসহ গ্রামের অর্থনীতি উন্নয়নে যে সব বহুমুখী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে যেমন, কৃষি খাতের পরিবর্তন, সুপেয় পানি সরবরাহ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, গ্রামকে শহরে রূপান্তর করার যে অঙ্গিকার প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন সেগুলো বাস্তবায়ন করা।’

পাঁচ দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলন গত রোববার (১৪ জুলাই) শুরু হয়েছে। এবার বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সম্পর্কে মোট ৩৩৩টি প্রস্তাব দিয়েছেন ডিসিরা। মন্ত্রী-সচিবদের উপস্থিতিতে এসব প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হচ্ছে। পাঁচ দিনের এ সম্মেলনে মোট ২৯টি অধিবেশন হচ্ছে। এর মধ্যে ২৪টি কার্য অধিবেশন।

এমইউএইচ/এনডিএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।