বর্ষায়ও দাবদাহের ভয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৪৫ পিএম, ১৭ জুলাই ২০১৯

অফিসের উদ্দেশে রওয়ানা হলাম। বুধবার (১৭ জুলাই) বেলা ১১টায় বাসা থেকে বের হয়ে, সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতেই ঘামতে শুরু করল শরীর। আকাশে মেঘ, রয়েছে রোদও। ফার্মগেট থেকে হাতিরঝিল পর্যন্ত আসতেই ঘামে ভিজে একাকার শরীর। পরনের জামা-কাপড়েরও বড় অংশ ঘামে ভিজে যায়। হাতিরঝিলের এফডিসির (বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন) অংশ থেকে বাড্ডার উদ্দেশে টিকিট কেটে চক্রাকার বাসে উঠে দেখা গেল, প্রখর রোদ আর গরমে অন্যদের অবস্থাও কাহিল।

আষাঢ়ের প্রথম অর্ধ-ভাগে বৃষ্টির পরিমাণ কম ছিল। তখন দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে বয়ে যায় দাবদাহ। এরপর মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত শুরু হলে দাবদাহ কমে যায়। এ অবস্থা বিরাজমান ছিল গত দু’দিন আগ পর্যন্তও।

তবে বর্ষার আরেক মাস, ১ শ্রাবণে (মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই) দেশের অধিকাংশ অঞ্চলেই বৃষ্টিপাত হয়নি। রাজধানীতেও কম ছিল, বৃষ্টিপাত হয়েছে মাত্র ৩ মিলিমিটার। বৃষ্টিপাত যেমনি কমতে শুরু করেছে, তেমনি পাল্লা দিয়ে আবার বাড়তে শুরু করেছে দাবদাহ। ফলে এই বর্ষায়ও নগরবাসীকে দাবদাহের ‘ভয়ে’ থাকতে হচ্ছে।

dabdah-3

বুধবার সকাল ৭টা পরবর্তী ৬ ঘণ্টার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে বাড়তে পারে দিনের তাপমাত্রা।

অন্যদিকে সকাল ৯টা পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয়। উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

বৃষ্টির পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আগামী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, এ সময়ের শেষভাগে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।

পিডি/জেডএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।