সড়কের পাশে পশুর হাট বসতে না দেয়ার নির্দেশ ডিসিদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:১৩ পিএম, ১৭ জুলাই ২০১৯

আসন্ন কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে প্রধান সড়ক ও মহাসড়কের পাশে পশুর হাট যেন বসতে না পারে, সে জন্য জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সচিব মো. নজরুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের ৪র্থ দিনের তৃতীয় অধিবেশন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, সেতু বিভাগ এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের এ অধিবেশন হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এতে সভাপতিত্ব করেন।

সভা শেষে সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘কিছু কিছু রাস্তা আছে এলজিআরডির কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে এগুলো মহাসড়ক বিভাগে আনার দরকার। এ বিষয়ে ডিসিদের সুপারিশ রয়েছে। কিছু রাস্তা প্রশস্ত করা, ফোর লেন কারার সুপারিশ তারা করেছে। এগুলো আমরাদের পরিকল্পনার মধ্যেও রয়েছে। এগুলো যথাসময়ে বাস্তবায়ন করবো।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দিক থেকে ডিসিদের একটা ম্যাসেজ দেয়ার চেষ্টা করেছি যে, সামনে পবিত্র ঈদুল আজহা, ঈদকে কেন্দ্র মহাসড়কের পাশে অনেক সময় কোরবানী পশুর হাট বসে। এতে করে যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। তাই রাস্তায় হাট যেন না বসে সেজন্য ডিসিদের সহযোগিতা চেয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন জেলাতে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া হয়। এজন্য প্রতিটি জেলাতেই অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে একটা বোর্ড রয়েছে। অনেক জেলাতে নিয়মিত এ বোর্ডের সভা হয়, আবার দু-একটা জেলাতে মিটিং নিয়মিত হয় না। আমরা সব জেলাতে নিয়মিত মিটিং করার জন্য বলেছি।’

সচিব বলেন, ‘উন্নয়নের জন্য মহাসড়ক নির্মাণ বা প্রশস্তকরণের সাথে ভূমি অধিগ্রহণের বিষয় থাকে। জেলা প্রশাসদের সহায়তায় ভূমি অধিগ্রহণ করে থাকি। তাদের (ডিসি) সহযোগিতা যেন অব্যাহত থাকে, কোনো কোনো মেগা প্রকল্পে বৈদেশিক অর্থায়ন থাকে, এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে একটা টাইম লিমিট থাকে। তবে অনেক সময় ভূমি অধিগ্রহণের জটিলতায় সময় মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যায় না। সে বিষয়গুলোতে আমরা ডিসিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।’

এমইউএইচ/এমএসএইচ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।