বিমানের ‘গলার কাঁটা’ নামল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:২৫ এএম, ১৭ জুলাই ২০১৯

জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটেছে। অবশেষে মিশরের কায়রোর উদ্দেশে ভিয়েতনাম ছেড়েছে বাংলাদেশ বিমানের ‘গলার কাঁটা’ খ্যাত লিজে আনা দুই বোয়িং ৭৭৭ এর একটি। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ২২ মিনিটে এয়ারক্রাফটি ভিয়েতনামের বিমানবন্দর থেকে টেক অফ করা হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সিনিয়র পাইলট ক্যাপ্টেন জোয়ার্দার এয়ারক্রাফটি কায়রোতে নিয়ে যান বলে নিশ্চিত করেছেন বিমানের পরিচালক (পরিকল্পনা) মাহাবুব জাহান খান।

শুকরিয়া আদায় করে তিনি বলেন, ‘আমরা টার্গেট অনুযায়ী প্রথম এয়ারক্রাফটি ফেরত দিতে সক্ষম হয়েছি। আশা করি, বাকিটাও দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে।’

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোকাব্বির হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ মাসেই অপর বোয়িংটি ফেরত পাঠানো হবে। তবে দিন তারিখ এখনও ঠিক হয়নি।’

জানা গেছে, বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ দুটি লিজ চুক্তিতে আনা হয়েছিল মিথ্যা তথ্য দিয়ে। যে কারণে লাভের চেয়ে ক্ষতিই হয় বেশি। মাসে ১১ কোটি টাকা হারে পাঁচ বছরে সাড়ে ৬০০ কোটি টাকার উপরে মাশুল গুনতে হয়েছে বাংলাদেশ বিমানকে। দুটি উড়োজাহাজ লিজের নামে হাতি পুষেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এক পাইলটের নেতৃত্বে শক্তিশালী সিন্ডিকেটের স্বার্থ রক্ষায় ওই চুক্তি করায় রাষ্ট্রীয় এ সংস্থাটি বছরে গচ্চা দিয়েছে ১৩২ কোটি টাকা হারে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিকল্পনা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের মার্চে পাঁচ বছরের চুক্তিতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে দুটি বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর লিজ নেয় বিমান। এর একটি বিমানের বহরে যুক্ত হয় ওই বছরের মার্চে এবং অন্যটি একই বছরের মে মাসে। ১১ মাস পার করে অর্থাৎ ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফ্লাইট পরিচালনার পর একটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। উড়োজাহাজটি সচল করতে ইজিপ্ট এয়ার থেকেই ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। ধারণা করা হয়, সুবিধাভোগীদের স্বার্থ হাসিল করতে চড়া দামে ইঞ্জিন ভাড়া করা হয়। দেড় বছরের মাথায় নষ্ট হয় বাকি ইঞ্জিনটিও। উড়োজাহাজটি সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে আবারও ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে গ্রাউন্ডেড থাকে উড়োজাহাজ দুটি। গত ডিসেম্বরে নষ্ট হয়ে যায় ভাড়ায় আনা ইঞ্জিনও। পরে ইঞ্জিন মেরামত করতে যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। নষ্ট হয়ে পড়ে থাকলেও প্রতি মাসে ১১ কোটি টাকা করে ভাড়া গুনতে হয়েছে বিমানকে।

আরএম/এনডিএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।