অপরিকল্পিত শিল্প-কারখানায় বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ আর নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:২১ পিএম, ১৫ জুলাই ২০১৯

এখন থেকে অপরিকল্পিত শিল্প-কারখানায় আর বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

বিদ্যুৎ বিভাগ এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের এ কার্য অধিবেশন হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এতে সভাপতিত্ব করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আলোচনায় একটা বিষয় এসেছে- প্রধানমন্ত্রী যেটা গতকাল উল্লেখ করেছেন, স্পষ্টভাবে অনুশাসন দিয়েছেন যে, যত্রতত্র শিল্প এলাকা করা যাবে না। আজকে আমরা জেলা প্রশাসকদের বলে দিয়েছি, আমরা কেবল পরিকল্পিত শিল্প এলাকা ছাড়া গ্যাসের লাইন, বিদ্যুতের সংযোগ দেব না। এটা একদম স্পষ্ট।’
‘এখন থেকে যারা শিল্প করতে চাচ্ছেন, যারা করে ফেলেছেন, তাদের নতুন করে চিন্তা করতে হবে।’

পরিকল্পিত শিল্প এলাকা বলতে কী ইকোনমিক জোন বুঝানো হচ্ছে- জানতে চাইলে নসরুল হামিদ বলেন, ‘অবশ্যই, খালি ইকোনমিক জোনই না, বিসিকেরও তো পরিকল্পিত শিল্প এলাকা আছে। আমাদের কথা হলো, এখানে পরিকল্পিত শিল্প এলাকা ছাড়া কোথাও গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগ দেয়া যাবে না। এমনকি কেউ যদি যত্রযত্র অনুমোদন ছাড়া করে, তাদের লাইন কেটে দেয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘অপরিকল্পিত শিল্পের কারণে আমাদের সমস্যা হচ্ছে, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস দিতে সমস্যা হচ্ছে। তারা চাইলে ভবিষ্যতে পরিকল্পিত শিল্প এলাকায় শিফট করতে পারবে।’
ডিসিদের সঙ্গে আলোচনায় কয়েকটি বিষয় উঠে এসেছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘একটা হচ্ছে বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার। প্রি-পেইড মিটারে মাঠপর্যায়ে কিছু সমস্যা আছে, সেগুলো আমরা দেখব। স্বাভাবিক তো নতুন টেকনোলজি ব্যবহৃত হচ্ছে। অনেকে তো এটার ব্যাপারে...। সেটা আমরা দেখব, বলেছি।’

বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন নির্মাণে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে ডিসিরা কোনো সমস্যার কথা জানিয়েছেন কি না- এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জমি অধিগ্রহণের ব্যাপারে একটা নীতিমালা তৈরি হচ্ছে, কীভাবে তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া যায়।’

বিদ্যুতের বকেয়া বিল ও অবৈধ সংযোগের বিষয়ে ডিসিদের কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কি না- জানতে চাইলে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি অফিসগুলোতে বিদ্যুতের বকেয়া বিল রয়ে গেছে প্রায় এক হাজার ৪০০ কোটি টাকার উপরে। তেল ও গ্যাসের বিলও রয়ে গেছে প্রচুর। সব মিলিয়ে হয়তো প্রায় ৮ থেকে ৯ হাজার কোটি টাকা বকেয়া বিল হবে।’

নসরুল হামিদ বলেন, ‘এখানে নির্দেশনা আসছে, ক্যাবিনেট সেক্রেটারি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যারা বিদ্যুতের বিল দেবেন না তাদের লাইন কেটে দেয়ার জন্য।’

আরএমএম/জেডএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।